এমএ কাশেম ভূঁইয়া-হোমনাঃ
কুমিল্লার তিতাস সর্বদাই নানাহ ঘটনা নিয়ে যতটা আলোচিত তারচেয়ে বেশি সমালোচিত।
এবার এমনই এক কর্মকান্ডে সমালোচনার ঝর বয়ে যাচ্ছে সুশিল সমাজে। যৌতুকলোভি স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েও নিস্তার হতে পারেনী গৃহবধূ মোসাঃ নার্গিস আক্তার (৩৫)।
বাড়ি থেকে হাসপাতালে আসার পথে পূর্বের স্বামী তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং এক পর্যায়ে কামড় দিয়ে নিচের ঠোঁট কেটে নেয়। লোমহর্ষক এ ঘটনাটি ঘটে তিতাসের সদর কড়িকান্দি ইউনিয়নের কড়িকান্দি গ্রামে।
মোসাঃ নার্গিস আক্তার, ওই গ্রামের মোঃ মোশারফ হোসেনের একমাত্র মেয়ে।
অভিযোগে জানা যায়, গত ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিলে পরকিয়ার ফাঁদে পরে হোমনার চান্দেরচর গ্রামের মৃত আলী মিস্ত্রির ছেলে সিএনজি চালক মোঃ আমির হোসেন(৩৭) সাথে সামাজিকভাবেই ১০লাখ টাকা দেনমোহরে বিবাহ হয় নার্গিস আক্তারের। কিন্তু বিবাহের পর দাম্পত্য জীবনে শুরু হয় বিপর্যয়। যৌতুকের জন্য শুরু হয় একের পর এক অমানুষিক নির্যাতন। পিতা মোঃ মোশারফ হোসেন প্রথমে ৩লাখ টাকা নগদ দিলেও ক্ষান্ত হয়নি।
মেয়ের সুখের জন্য আমির হোসেনকে বিদেশ যাওয়ার জন্য আরো ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক হিসেবে দেন। সেই টাকা দিয়ে কুয়েতে পাড়ি জমান। নিয়ে যায়। সেখানেও নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনায় অল্পকিছুদিন পরই দেশে চলে আসে।
দেশে ফিরেই ব্যবসার জন্য ফের ৫ লাখ টাকা চেয়ে শুরু হয় অত্যাচার-নির্যাতন। সবশেষ আমির হোসেনকে ডিভোর্স দিয়ে নার্গিস আক্তার বাপের বাড়িতেই বসবাস করতে থাকে।
এরপর গত ১৮ ডিসেম্বর সকালে নার্গিস আক্তার বাড়ি থেকে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পথে নরপিচাশ ওই আমির হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫জন মিলে জোর করে তুলে নিতে চায়। পরে জমির আড়ালে ফেলে সকলে ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং একপর্যায়ে মুখে কামড় দিয়ে নিচের ঠোঁট কেটে নেয়।
এসময় তার শোরচিৎকারে আশেপাশের লোকজন চলে আসে এবং অপরাধীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে ভিকটিমের বাবা মোঃ মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে গত ২২ ডিসেম্বর তিতাস থানায় মামলা নং ৭ রুজু করেন।
তিতাস থানার এসআই ও মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রী মধুসূদন সরকার বলেন, আমরা অভিযান চালিয়ে আসামী আমির হোসেনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি।
ভিকটিম সাংবাদিকদের নিকট বলেন, আল্লাহর রহমতে আমি বেঁচে গিয়েছি। তবে সে তার বন্ধুদের নিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তুলে নিতে চেয়েছিলো। পরে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে ঠোঁট কেটে নেয়। আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।