তথ্য অপব্যবহারের অভিযোগে র্যাঙ্কওয়েভের বিরুদ্ধে ফেসবুকের মামলা

তথ্যপ্রযুক্তি

 

মাহবুব শরীফ

দক্ষিণ কোরিয়ার ডাটা গবেষণা প্রতিষ্ঠান র্যাঙ্কওয়েভের বিরুদ্ধে তথ্য অপব্যবহারের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। অভিযোগে বলা হয়, ফেসবুকের তথ্য র্যাঙ্কওয়েভ বিপণন ও বিজ্ঞাপনের কাজে ব্যবহার করছে।

ফেসবুক থেকে প্রাপ্ত তথ্যগুলো র্যাঙ্কওয়েভ কোথাও বিক্রি করেছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বিবিসিকে জানিয়েছে, এ ঘটনায় কতজন ব্যবহারকারী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তা জানানো মুশকিল। প্রতিষ্ঠানটি ডেভেলপারদের নিকট একটি সতর্কতামূলক মেসেজ পাঠাবে। এতে নীতিমালার বিষয়গুলোও থাকবে।

ফেসবুক প্লাটফর্ম প্রয়োগকারী পরিচালক জেসিকা রোমেরো বলেন, ‘ফেসবুকের বিজ্ঞাপন ও বিপণনে ব্যবহারকৃত তথ্যের বিষয়ে র্যাঙ্কওয়েভের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তদন্ত করছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘র্যাঙ্কওয়েভ আমাদের নীতিগুলোর সঙ্গে তাদের সম্মতি যাচাই করার প্রচেষ্টার সঙ্গে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা আমাদের প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে সমস্ত ডেভেলপারের অনেক প্রয়োজন।’

গত শুক্রবার পর্যন্ত বিবিসিকে র্যাঙ্কওয়েভ কিছুই জানাতে পারেনি।

ব্যবহারকারীদের পোস্ট ট্র্যাকিং

গত শুক্রবার ক্যালিফোর্নিয়ায় দায়ের করা মামলার নতি অনুযায়ী, ফেসবুক র্যাঙ্কওয়েভকে উদ্দেশ্য করে বলে, তারা কমপক্ষে ৩০টি ভিন্ন ভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে ট্র্যাক ও বিশ্লেষণ করার জন্য। এ অ্যাপগুলো দিয়ে ফেসবুক পেজগুলোতেও লাইক দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

র্যাঙ্কওয়েভের অবশ্য একটি ভোক্তা অ্যাপ্লিকেশন ছিল যা ব্যবহারকারীদের সম্মতিতেই তাদের পোস্টগুলোর জনপ্রিয়তা যাচাই করত। এ বিষয়ে ফেসবুক জানায়, অ্যাপটি সামাজিক প্রভাবের স্কোর গণনার কাজ করে ওই অ্যাপটি।

ফেসবুক ওই মামলায় র?্যাঙ্কওয়েভকে তাদের প্লাটফর্মের মাধ্যমে অবৈধভাবে যে তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছে তা চিরতরে মুছে দেবার কথা বলেছে। একইসঙ্গে সেটি যেন ভিন্নভাবে ব্যবহার করা না হয় সেটিও দেখতে বলেছে। একইসঙ্গে ফেসবুক নিজেও ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে। কীভাবে তারা এমন তথ্য নেবার কাজ করেছে সেটিও খুঁজে বের করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার কথা জানিয়েছে। সবমিলিয়ে ফেসবুক চাইছে, দক্ষিণ কোরীয় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে একটা জোরালো পদক্ষেপ নিতে।

এর আগেও ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য বেহাত হয়েছে। বিশেষ করে গত বছরের ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার তথ্য হাতিয়ে নেবার ব্যাপারটি ছিল সবচেয়ে বড় ঘটনা। সেই ঘটনার রেশ এখনো রয়েছে। এর মধ্যেই বারবার এমন তথ্য হাতিয়ে নেবার ঘটনায় গ্রাহকরাও শঙ্কিত।

সূত্র : বিবিসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.