ভুয়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট দিয়ে ভিসাপ্রত্যাশীদের নজরদারি করবে যুক্তরাষ্ট্র

তথ্যপ্রযুক্তি

যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ড, নাগরিকত্ব বা বেড়াতে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করবেন তাঁদের সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করতে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের দ্বারস্থ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সিটিজেনশিপ ও ইমিগ্রেশন সার্ভিসের (ইউএসসিআইএস) কর্মকর্তারা। এ কাজে সামাজিক যোগাযোগের সাইটে কাল্পনিক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন তাঁরা। দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সম্ভাব্য প্রাইভেসি বিষয়টিকে হালনাগাদ করা হয়েছে। এর আগে কর্মকর্তাদের নজরদারির প্রয়োজনেও ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করার অনুমতি ছিল না।

ইউএসসিআইএসের বিবৃতিতে বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে, ভুয়া অ্যাকাউন্ট ও পরিচয় তদন্তকারীদের প্রতারক ও নিরাপত্তা উদ্বেগ সৃষ্টিকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য প্রমাণ খুঁজতে সাহায্য করবে। এতে কাউকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেওয়া হবে কিনা তা যাচাই করতে পারবেন তাঁরা।

গত জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা আবেদনের সময় সামাজিক যোগাযোগের সাইটের ইউজার নেম দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়।

ফেসবুক ও টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভুয়া প্রোফাইল খোলার বিষয়টি কীভাবে এসব সাইটের নীতিমালা সমর্থন করবে তা পরিষ্কার নয়। এ দুটি সাইটের নীতিমালায় বলা আছে, কারও ছদ্মবেশে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খোলা হলে তা নীতিমালার লঙ্ঘন।

সম্প্রতি চীন সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে ফেসবুক ও টুইটার। তারা দাবি করে, সরকার সংশ্লিষ্ট এসব অ্যাকাউন্ট ভুয়া পরিচয়ে খোলা হয়েছিল।

টুইটারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভুয়া পরিচয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা ও কারও বিরুদ্ধে নজরদারির জন্য অ্যাকাউন্ট খোলা আমাদের নীতিমালা বহির্ভূত। ইউএসসিআইএসের প্রস্তাবিত নীতিমালা আমাদের সঙ্গে যাবে কিনা তা বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ফেসবুকের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

অ্যাকাউন্ট ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা যায়। তবে অনেক সাইটে অ্যাকাউন্ট ছাড়া ঢোকা সম্ভব হয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.