প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের আগমনে প্রমান হচ্ছে ঘনিষ্টজনদের ভূমিকায় মা-বাবার পরই পুলিশ।

কিশোরগঞ্জ

এ পৃথিবীতে প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের আগমন যদি না হতো তাহলে আমরা বুঝতেই পারতাম না একজন মানুষের সবচেয়ে আপনজন মানুষটি কে? করোনা ভাইরাসের ভয়ে একমাত্র মা-বাবাই সন্তানকে ফেলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়ায় সম্প্রতি সময়ে সন্তানরা তার মা’কে অন্ধকার রাতে বনে রেখে গেছে, স্ত্রী তার স্বামীকে এবং সন্তান তার বাবাকে রেখে যাওয়ার ঘটনা অহরহ ঘটেছে। পরবর্তীতে পুলিশই তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসা প্রদান, সাময়িক বাসস্থান এবং খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্হা করেছেন। এছাড়াও করোনা ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু হওয়ায় মৃতের লাশ ফেলে যাওয়া, দাফন না করা, জানাজা না দেয়াসহ অসংখ্যা ঘটনার জম্ম দিয়েছে এই মহামারীতে। পুলিশই একমাত্র ব্যক্তি মা-বাবার পরে আপনজনের ভূমিকা রেখে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর আশংকা আছে জেনেও নিজের পরিবারের কথা ভূলে গিয়ে দেশ ও দশের বৃহত্তর স্বার্থে ফেলে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করে আশ্রয় দান, করোনায় মৃতদের জন্য কবর খুড়েঁ জানাজা শেষে দাফন ইত্যাদি ইত্যাদির ব্যবস্হা করেছেন। এছাড়া দেশের এই দূর্যোগমূহুর্তে সময় মতো খেয়ে- না খেয়ে, স্ত্রী-সন্তান, পিতা- মাতা, ভাই-বোন ও আত্মীয়- স্বজন রেখে চোখের ঘুম হারাম করে দিন-রাত পরিশ্রমের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখতে করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত সচেতনতায় ভূমিকা রেখে গ্রামে- গঞ্জে, হাট-বাজারে গিয়ে গিয়ে জনসাধারণকে গণসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা রক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের মুখ উজ্জল করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাদের সংস্হার নাম। স্যালুট জানাই বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.