লিটন সরকার বাদল,
শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এর পরই পবিত্র ঈদুল ফিতর। স্বজনদের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ইতোমধ্যে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ; বেড়েছে মহাসড়কে যানবাহনের চাপও। তবে গত ২৫ মে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা ও গোমতী নদীর ওপর নির্মিত সেতু চালু হওয়ার পর থেকে অবসান ঘটেছে চিরচেনা যানজটের। কম সময়ের মধ্যেই স্বস্তিতে যাত্রা করছেন যাত্রীরা।
চালকরা জানান, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া প্রান্তে মেঘনায় দ্বিতীয় মেঘনা সেতু এবং কুমিল্লা দাউদকান্দি প্রান্তে গোমতী নদীর ওপর দ্বিতীয় গোমতী সেতু উদ্ধোধনের পর আর মহাসড়কে যানজটের দেখা মেলেনি। তবে গত মঙ্গলবার দ্বিতীয় গোমতী সেতুর ওপর চট্টগ্রামগামী লরি ও ঢাকাগামী কাভার্ডভ্যানের মধ্যে সংঘর্ষে সেতুর দুই পাশে সৃষ্টি হয় জট। দুর্ঘটনায় কবলিত গাড়িগুলোকে সরাতে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় লাগে। পরবর্তীতে প্রায় দুই ঘণ্টা পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করে হাইওয়ে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রাইভেটকারে ঢাকা থেকে সহপরিবারে কুমিল্লার বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করেন আবদুল হাই নামের এক ব্যক্তি। তিনি ঢাকা থেকে বের হয়ে দেড় ঘণ্টার মাথায় কুমিল্লা ক্যান্টেনমেন্ট এসে পৌঁছেন। কোথাও কোনও যানজট চোখে পড়েনি বলে জানান। তার দাবি, এর আগে কখনও এমন স্বস্তিতে ঢাকা থেকে ঈদযাত্রা করতে পারেননি।
ইকোনো এক্সপ্রেসের চালক হুমায়ুন কবির জানান, ঢাকা-লক্ষ্মীপুরে রোডে সাতবছর বাস চালান। এবারের মতো তিনি কখনও ৯০ মিনিটের মধ্যে কুমিল্লা থেকে ঢাকা-যেতে পারেননি। দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতী সেতু উদ্বোধনের আগেও পারেননি। তিনি জানান, বর্তমান পরিবেশ বজায় থাকলে ঈদের আগের দিনও যাত্রীরা যানজট-যন্ত্রণা ছাড়া বাড়ি ফিরতে পারবেন।
কুমিল্লা দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, মাহসড়কে স্বস্তিতেই ঈদযাত্রা শুরু করছেন যাত্রীরা। দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতু খুলে দেওয়ার পর থেকে কোথাও কোনও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। সেতুর দুই পাশে গাড়ির গতি স্বাভাবিক রাখতে আমাদের পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। গত মঙ্গলবার (২৮ মে) গোমতী সেতুর ওপর লরি ও কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষের কারণে সামান্য কিছু সময় লেগেছে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে। মহাসড়ক বা সেতুর ওপরে আর কোনও দুর্ঘটনা বা গাড়ি বিকল না হলে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে আশা করি।