স্বাস্থ্য খাতসহ সকল খাতের দূর্নীতি, সিন্ডিকেট, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও, যুব অধিকারে ঐক্যবদ্ধ হও এসব স্লোগানকে সামনে রেখে যুব মৈত্রী’র উদ্যোগে করোনাকালীন যুব সমাজের সংকট ও দূর্দশা মোকাবেলায় যুব মৈত্রী ঘোষিত আশু ৯ দফা দাবি আদায়ে দাবি দিবস ও মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে। শনিবার (৩ অক্টোবর) ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত দাবি দিবস ও মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি সাব্বাহ আলী খান কলিন্সের সভাপতিত্বে বক্তারা বলেন, করোনাকালীন চলমান সময়ে বেকার ও কর্মহীন যুব জনগোষ্ঠী বিশাল সংকটকাল অতিক্রম করছে ও চাকুরি প্রত্যাশী প্রবাসী শ্রমিকরাও দিশেহারা। যুব মৈত্রী ঘোষিত ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি আহবান জানান তারা । নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ৯ দফা বাস্তবায়ন হলে দেশের সামগ্রিক যুব জনগোষ্ঠী স্বস্তি পাবে। দাবি দিবসে নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, মরনঘাতী করোনার পাশাপাশি এ দেশে দুর্নীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। আরও দৃষ্টিগোচর হচ্ছে দেশের সর্বক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম। দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের লাগাম এখনই টেনে না ধরলে বিপদ আসন্ন। সমাজ ও ব্যক্তি জীবনে আয়-বৈষম্য বিরাজমান। নারীর মর্যাদা লংগন, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। স্বাধীন দেশে যা কোনো ক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। ধর্ষণের পাশাপাশি সমাজে ভয়ংকর কিশোর গ্যাংয়ের উত্থান হয়েছে। অনুসন্ধানে ধর্ষক ও কিশোর গ্যাং এবং তাদের কথিত বড় ভাইরা ক্ষমতার সুশীতল ছায়ায় অবস্থান করছে। এখনই এদের রুখতে হবে। অন্যথায় সামাজিক অস্থিরতা আরও ঘনিভূত হবে। যার পরিণতি হবে ভয়ংকর। বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, স্বাস্থ্য খাতসহ সকল খাতের দুর্নীতির মূল উৎপাটন করতেই হবে। স্বাস্থ্যের দুর্নীতির দায় কোনো ভাবেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী অস্বীকার করতে পারে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অবিলম্বে দুর্নীতিগ্রস্ত ও ব্যর্থ স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অপসারণ করে দেশবাসীর আকাঙ্খা পূরণ করবেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন তৌহিদুর রহমান, মুতাসিম বিল্লাহ সানী, তাপস দাস, কাজী মাহমুদুল হক সেনা, এম এম মিলটন, মানিক হাওলাদার মামুন, জসিম উদ্দিন, জামিলুর ইসলাম ডালিম প্রমুখ। যুব মৈত্রী’র ৯ দফা গুলো হলো-“অনতিবিলম্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অপসারণ চাই”,” করোনা টেস্ট বাড়াও এবং সবার জন্য বিনামূল্যে কার্যকর করোনা ভ্যাকসিন প্রাপ্তি নিশ্চিত করো”,” করোনাকালীন বেকার কর্মহীন হয়ে পড়া যুবদের নিবন্ধনপূর্বক বেকার ভাতা ও বিশেষ রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে”,” স্বাস্থ্যখাতসহ সকল সেক্টরে দুর্নীতি ও সিন্ডিকেট রুখে দাঁড়াও এবং দুর্নীতিবাজদের বিচার কর”,” যুব কৃষি খামারি ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য জামানত ও সুদবিহীন ঋণ চাই”, “স্বাস্থ্যসেবা প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার এই অধিকার সবার জন্য নিশ্চিত করতে হবে”,”করোনাকালীন সরকারি সকল আর্থিক সহায়তা, রেশন ও ত্রাণ বিতরণে দলবাজি, দুর্নীতি পরিহার করে প্রকৃত অসহায়, দরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের মধ্যে বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে”, “মোবাইল ফোনের কল রেট, ইন্টারনেট চার্জ ও এন্ড্রয়েট ফোনের দাম অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে”, “করোনাকালীন শহরে-গ্রামে সর্বত্র আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা, মাদকের অবাধ বিস্তার, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা রুখে দাঁড়াও”।