করোনায় আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন সরকারি এক বড় কর্মকর্তার স্ত্রী। মৃত্যু বরণ করা সেই কর্মকর্তার স্ত্রীর বাবার কান্নাকাটিতে পরদিন শনিবার বিকেলে লাশ নিয়ে তার এক স্বজন ঢাকা থেকে একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে বাবার বাড়ী কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কামারচর গ্রামে নিয়ে আসে। এসময় লাশ বাবার বাড়ী কামারচরে নিয়ে আসলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর শুনে ভয়ে পালিয়ে যায় আশপাশের স্বজন ও গ্রামবাসি। এমনকি গ্রামের মসজিদে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায় ইমাম ও মুয়াজ্জিন। শুরু হয় লাশ দাফন নিয়ে দুশ্চিন্তা। লাশ দাফনে কেউ এগিয়ে না আসায় সন্ধ্যা পর্যন্ত এম্বুলেন্সের ভিতরেই পরে থাকে লাশ। খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এফসিএ’র নির্দেশে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মোঃ রুহুল আমিনের নেতৃত্বে লাশ দাফন করতে কামারচর গ্রামের যান যুবলীগের সদস্যরা। সেখানে গিয়ে সমজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন ও খাঁটিয়া না পেয়ে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় এ্যাম্বুলেন্সের স্ট্রেচারে করেই মোবাইলের নিভু নিভু আলোতে জানাযাসহ লাশ দাফনের সকল কাজ সম্পন্ন করেন। লাশ দাফন শেষে যুবলীগের সদস্যরা বিদ্যুতের বিষয়ে খবর নিয়ে জানতে পারে এ গ্রামে করোনায় মৃত্যু বরণ করা ব্যক্তির লাশ দাফন হবে এমন খবরে গ্রামবাসী বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে, যেন লাশ দাফন করতে না পারে। তবে লাশ দাফন শেষে এবিষটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রশংসায় ভাসছে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ। এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মোঃ রুহুল আমিন বলেন আমার প্রিয় নেতা স্থানীয় সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ মহোদয়ের মানবিক নির্দেশনায় আমরা করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তিদের লাশ দাফনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে অনেক সময় আমরা কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যত সমস্যাই হোকনা কে আমরা এ কাজ চালিয়ে যাবো।