শেষ হয়েছে ঢাকার চারপাশের নদী দখলমুক্তের অভিযান। এখন চলছে উচ্ছেদ পরবর্তী নদী তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ। যার আওতায় ঢাকার চারপাশে ৫২ কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ১১ হাজার স্থায়ী নদীর সীমানা পিলার বসানোর পাশাপাশি নির্মাণ করা হবে বেশ কিছু পরিবেশবান্ধব ইকোপার্ক ও কয়েকশ আধুনিক সিড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২৪'শ ত্রিশ কোটি টাকার এ কাজ বাস্তবায়ন হলে উন্নত বিশ্বের মতো ঢাকাও পাবে নতুন পরিচয়।
দখলে আর দূষণে মৃতপ্রায় ঢাকার চারপাশের নদীর প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে এ বছরের ২৯ জানুয়ারী থেকে শুরু হয় সাড়াশি উচ্ছেদ অভিযানে টানা ৬ মাসে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় প্রায় সাড়ে চার হাজার অবৈধ স্থাপনা আর উদ্ধার করা হয় ১২১ একর নদীর জায়গা।
উচ্ছেদ শেষে নদী তীর রক্ষা করতে এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প। যেখানে ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ের পাশাপাশি নির্মাণ করা হবে তিনটি ইকোপার্ক, ১০ হাজার ৮২০ টি সীমানা পিলার ও ৪০৯টি আধুনিক বসার বেঞ্চ।
সীমানা পিলার বসানোর দায়িত্ব পাওয়া কোম্পানি বলছে, এবারের সীমানা পিলারের স্থায়িত্ব হবে কমপক্ষে ১০০ বছর।
ঢাকার চারপাশের নদী তীর রক্ষা প্রকল্প পরিচালক মো. নুরুল আলম বলছেন, কেউ যাতে নতুন করে আর বুড়িগঙ্গা তুরাগ দখল করতে না পারে, সেজন্য এ প্রকল্পে তীর রক্ষার ওয়ালগুলো খাড়াভাবে করা হবে। কাজ শেষে ঢাকার চারপাশের পুরো চেহারা পাল্টে নদীতীর পরিবেশবান্ধব বিনোদন কেন্দ্রে রূপ নেবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমরা অবকাঠামোগুলো এভাবে করছি যে দখল করা সুযোগ না থাকে। নদীর পার হবে অনেক সুন্দর, যেমন রাস্তা, সবুজ গাছ থাকবে। যার ফলে মানুষ নদীর পারে ঘুরতে আসবে।
২০২২ এর জুনে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।