ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। আছে সংসদ সদস্যের দায়িত্বও। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে তাই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হচ্ছে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। রোগীর বাড়িতে চিকিৎসক পাঠানোর পাশাপাশি সচেতন করছেন সাধারণ মানুষকে। এর মাঝে একটি মৃত্যু সংবাদে ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন দেশের ক্রিকেটের অন্যতম এই তারকা।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মঈন উদ্দিন কাল ভোরে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি করোনায় মৃত্যুবরণকারী দেশের প্রথম চিকিৎসক।
আজ মাশরাফির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, ‘সবাইকে শোকে ভাসিয়ে চলে গেলেন এক মহৎ প্রাণ ডাক্তার! করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গতকাল সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক মানবিক ডা. মো. মঈন উদ্দিন চলে গেলেন না ফেরার দেশে! তিনি ছিলেন করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ফ্রন্ট লাইনের যোদ্ধা। তাঁর এই মৃত্যু হৃদয় বিদীর্ণ করার মতো।’
মাশরাফি পেজে আরও লেখা, ‘বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের ছোবলে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশও আক্রান্ত। দেশের এই মহা ক্রান্তিকালে ডা. মঈন উদ্দিন ছিলেন দেশের মানুষের জন্য আত্মোৎসর্গীকৃত। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত একজন মানবসেবী হিসেবে মানুষের সেবা করে গেছেন তিনি। নিজের জীবনের সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে তিনি চিকিৎসাসেবা দিয়ে গেছেন। মানুষের প্রতি, দেশের প্রতি তার এই আত্মত্যাগ শব্দ-বাক্যে প্রকাশের মত নয়। মানবতার জয়গান গাওয়া ক্রান্তিকালের এই যোদ্ধাকে নিশ্চয় গোটা জাতি আজীবন পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে।’
চিকিৎসক মঈনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মাশরাফি লিখেছেন, ‘আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। সবশেষে আমি এই বীরযোদ্ধাকে জানাচ্ছি- “স্যালুট”।’
প্রথমে চিকিৎসক মঈনকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে পরিবারের ইচ্ছায় চিকিৎসার জন্য ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মঈন উদ্দিন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মঈন উদ্দিনের মৃত্যুতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।