ডাচ বাংলা’র বুথ থেকে নকল কার্ডের মাধ্যমে টাকা চুরি হচ্ছে, জানার পরও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নির্বিকার

বাংলাদেশ

জাবের হোসেন : ডাচ বাংলা ব্যাংক ঘিরে সক্রিয় কয়েকটি প্রতারক চক্র। গ্রাহকের অজান্তে কার্ড বদলে ফেলা, নতুন কার্ড তোলা, শ্রমিকের পাঠানো রেমিটেন্সের টাকা তুলে নেয়ার কাজ তারা করছেন নিখুদ ভাবে। এটিএন নিউজ।

অভিনব কায়দায় ডাচ বাংলা ব্যাংকের গ্রাহক সাহিদ আকনের ব্যাংক একাউন্ট থেকে ৮ লাখ ৩২ হাজার টাকা চুরি করেছে এই চক্রটি। সিসিটিভি ক্যামেরায় তার মুখ স্পষ্ট দেখা গেলেও, ব্যাংক ম্যানেজার কোন উত্তর দিতে পারেননি। এই প্রতারকের অভিনব কৈাশলে ফকির হয়েছে আব্দুর রহিম নামের এক শিক্ষার্থী। তার কার্ড পাল্টিয়ে তুলে নিয়েছে চার বছর ধরে টিউশনি করে জমানো ৪৮ হাজার টাকা।

আব্দুর রহিম বলেন, সিসিটিভির ২টি ভিডিও নিতে ছয় হাজার টাকা খরছ হয়েছে। পরে ব্যাংকের তারা ভিডিও দেখার পরে বললো এতো মানুষের মধ্যে কি করে চোরকে বের করবো। এর পরে ভিডিওটা নিয়ে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করলাম তারাও কোন সাহাষ্য করলো না।

কিছুতেই মাথায় আসছেনা ব্যাংক একাইন্ট থেকে টাকা উধাও হয় কিভাবে? এটাও সম্ভব হয়েছে রেমিটেন্স পাঠানো এক শ্রমিকের বেলায়। কাতার প্রবাসি এক শ্রমিক ফেনীর দাগনভুঁঞা ব্রাঞ্চে ৪১ হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন বাবার একাউন্টে। সে টাকাও উধাও। মো. ফরহাদ বলেন, ব্যাংক ম্যানেজার বলছে ন্যাকসাসফেলের মাধ্যমে টাকা গুলো নিয়ে গেছে। টাকাগুলো যে একাউন্ট এর মাধ্যমে নিয়ে গেছে তার বিস্তারিত তো ছিলো। সে বিষয়ও ব্যাংক ম্যানেজার কিছু করেনি।

যখন এতো অভিযোগ তখন ডাচ বাংলা ব্যাংক কর্তীপক্ষ মুখে তুলো জমেছেন। চোর ধরতে সহযোগিতাতো দূরে থাক তাদের দেখাই মিলছে না। তবে বাংলদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ভুক্তভোগিদের পাশে থাকার আস্বাশ দিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রাহকদের এ জাতীয় কোন হয়রানী হলে বা তারা যাদি কোন প্রতারনার শিকার হয়। তখন তাদের রিমেডি করার জন্য আমাদে একটা ডিপার্টমেন আছে। সে ডিপার্টমেন্টে যদি তারা আবেদন করে তখন বাংলাদেশ ব্যাংক সেটা যাচাই বাচাই করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.