দক্ষিণ এশিয়ার পরাশক্তি চীন ইতোমধ্যেই বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম পরাশক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে দেশটিকে সর্বক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে বিশ্ব পরাশক্তি হতে দেবেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ জন্যই বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছেন এবং এতে সন্তোষও প্রকাশ করেছেন তিনি।
ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সোমবার ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি যতদিন ক্ষমতায় আছি, ততদিন চীনকে বিশ্ব পরাশক্তি হতে দিব না। দেশটির পক্ষে এখন পরাশক্তি হয়ে ওঠা সম্ভব হবে না।’
চীন বিশ্বের পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের স্থান দখল করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চীন সেটি চাইলেও পেরে উঠবে না। কেননা, সন্দেহাতীতভাবে চীন যুক্তরাষ্ট্রের মতো ভালো অবস্থায় নেই।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলছেন, মার্কিন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আটকে রেখে ওয়াশিংটনকে টপকে যেতে চাইছে চীন। হিলারি ক্লিন্টন প্রেসিডেন্ট হলে হয়তো তার শাসনামল শেষ হবার আগেই সেটি সম্ভব হতো। কিন্তু আমি আসার কারণে চীনের অর্থনীতি এখন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বড় নয়।
২০৩০ সাল নাগাদ চীন বিশ্বের এক নম্বর অর্থনৈতিক পরাশক্তি হবে বলে আভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ। একই ধরনের ভবিষ্যৎবাণী দিয়েছে আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা এইচএসবিসিও।
এদিকে চীনের এই অগ্রগতি ঠেকাতে সম্প্রতি চীনের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছেন ট্রাম্প। এর অংশ হিসেবে চীনা পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। অবশ্য চীনও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে সাম্প্রতিক সময়ে দু'দেশের মধ্যে বর্তমানে বৈরী সম্পর্ক বিরাজ করছে। সূত্রে:- bangla.24livenewspaper