যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী জো বাইডেনের দ্বিতীয় দফা বিতর্ক হবে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে। বাইডেন নিজে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
‘আগামী সেপ্টেম্বরে ফের তার (ট্রাম্পের) সঙ্গে বিতর্ক হবে আমার। দিন এখনও নির্ধারিত হয়নি, আমরা পারস্পরিক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে একটি দিন ঠিক করে নেবো।’
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, একজন নাগরিক সর্বোচ্চ দু’বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। ২০১৬ সালে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করে প্রথমবারের দেশের প্রেসিডেন্ট হন ট্রাম্প। আবার ২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পকে পরাজিত করা জো বাইডেনও তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হন।
আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনেও দুই প্রধান দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ট্রাম্প-বাইডেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের আমন্ত্রণে ২৮ জুন প্রথম নির্বাচনী বিতর্কে নামেন তারা।
বিতর্কে দেশের অর্থনীতি সামলানো, পররাষ্ট্রনীতির রেকর্ড ও ব্যাপক সংখ্যক অভিবাসী আগমণ ইস্যুতে বাইডেনের তীব্র সমালোচনা করেন ট্রাম্প; কিন্তু স্পষ্ট ও আত্মবিশ্বাসপূর্ণ যুক্তি দিয়ে সেসব সমালোচনা খণ্ডন করতে অনেকাংশে ব্যর্থ হন বাইডেন। তাকে বেশ ক্লান্তও দেখা যাচ্ছিল সে সময়।
বিতর্কের পর তাৎক্ষণিক এক জরিপে জানা গেছে, বিতর্ক অনুষ্ঠানটি দেখেছেন— এমন দর্শকদের মধ্যে ৬৭ শতাংশেই যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেখতে চান।
ওই বিতর্কের পর বাইডেনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার ইস্যুতে নতুন করে আলোচনা শুরু হয় ডেমোক্রেটিক পার্টিতে। দলের একাংশের নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে না হলেও আড়ালে বলতে থাকেন, বয়সজনিত কারণে বাইডেনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা উচিত। ডেমোক্রেটিরক পার্টির কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ দাতা জানান, বাইডেন প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ডেমোক্রেটিক পার্টির তহবিলে অর্থ প্রদান করা বন্ধ করে দেবেন তারা।
তবে এসব সমালোচনাকে পাত্তা না দিয়ে ৮১ বছর বয়সী বাইডেন বলেছেন, তিনি কোনোভাবেই নির্বাচন থেকে সরবেন না।
এদিকে, ডেমোক্রেটিক পার্টিতে যখন বাইডেনের প্রার্থিতা নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে— সে সময়ই শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলার শহরে নির্বাচনী প্রচারণাসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে গুলির আঘাত পান ট্রাম্প। ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্পকে যে আততায়ী গুলি করেছেন, তিনি নিজেও পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন। আততায়ী সেই তরুণ রিপাবলিকান পার্টির সমর্থক ছিলেন বলে বলছে পুলিশের নথি।
সূত্র : রয়টার্স