কক্সবাজারের টেকনাফে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, লুটপাট ও হামলার অভিযোগে উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে প্রধান আসামি করে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এ মামলায় টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহমেদকেও আসামি করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাতে কক্সবাজার জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এতে অজ্ঞাতনামা প্রায় ৭০ জনকে আসামি করা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি।
অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির নেতৃত্বে কক্সবাজার জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল্লাহর মালিকানাধীন ফিলিং স্টেশন (পেট্রল পাম্প), আলো শপিং কমপ্লেক্স, হোটেল নাফ কুইনসহ আরও বেশ কয়েকটি স্থাপনায় সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে ব্যাপক গুলি ও ভাঙচুরের পাশাপাশি দোকানপাট লুট করা হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আবদুর রহমান বদি বলেন, ‘ওই দিন বিকেলে আবদুল্লাহর নেতৃত্বে টেকনাফ বাস স্টেশন এলাকায় পৌরসভা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও আমার ব্যক্তিগত অফিসের হামলা হয়। এটা দিবালোকের মতো সত্য। আমার ছোট ভাই আবদুস শুক্কুরের অলিয়াবাদ এলাকার ব্যক্তিগত অফিসেও তারা ভাঙচুর চালায়। এখন মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানির চেষ্টা করা হচ্ছে। আমিও আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
টেকনাফ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আহমদ বলেন, ‘মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করা হচ্ছে। টেকনাফ সদর ইউপির চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ট্রাক-মিনিট্রাক মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ দখলে নেওয়ার জন্য আমাকে মারধর ও অফিসে আগুন দেওয়া হয়। পরে আমার পরিবারের লোকজন আমাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় জিয়াউর রহমানকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে গতকাল রাতে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।’