প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪, ১:৫৬ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ২৮, ২০২০, ৩:১৩ পি.এম
টুংটাং শব্দে এখন মুখরিত সান্তাহারের কামার পাড়ায়।
কুরবানীর ঈদকে সামনে রেখে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন সান্তাহার পৌর এলাকার কামার শিল্পীরা। ঈদের আর মাত্র কয়দিন বাকি তাই দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে তাদের ব্যস্ততা। কুরবানির পশু কাটতে চাই ধারালো ছুরি, দা, বটি ও চাপাতি (কাটারি)। তাই কয়লার চুলায় দগদগে আগুনে গরম লোহার পিটাপিটিতে টুং টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে সান্তাহারের কামার পাড়ায়। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন তারা। সরেজমিন সান্তাহার পৌর এলাকার হাট-বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। পশু জবাইয়ের সরঞ্জামাদি কিনতেও লোকজন আসা-যাওয়া করছেন তাদের দোকানে। আগে যেসব দোকান একজনে চলতো এখন সেসব দোকানে অতিরিক্ত আরো ২/১ জন শ্রমিক কাজ করছেন। সান্তাহার নতুন বাজরের কামার আরমান হোসেন বলেন, সারাবছর কাজ কম থাকে। কুরবানির ঈদ এলে আমাদের কাজ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ছুরি শান দেয়ার জন্য ৫০ টাকা থেকে শুরু করে কাজের গুণাগুণের উপর ভিত্তি করে ১৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। তবে এবার করো না মহামারীর কারণে দুরের খদ্দেররা এবার না আসে তাহলে গত বছরের চেয়ে এবার কাজ অনেকাংশে কম হবে বলে ধারনা কশিল্পীরারছি।
কামার শ্রী. গনেশ কুমার বলেন, কুরবানির ঈদ উপলক্ষে আমাদের বেচাকেনা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। ঈদের দুই/তিন দিন আগে সাকল থেকে শুরু করে গভির রাত পর্যন্ত বেচাকেনা হয়ে থাকে। তখন আমাদের খাওয়ার সময়ও থাকে না। কামার সাদ্দাম হোসেন বলেন, কুরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লার মূল্য বেড়ে গেছে। মাত্র কয়েক মাস আগেও প্রতি টিন কয়লার দাম ছিলো ২৫ থেকে ৩০ টাকা। সেই কয়লা এখন আমাদের ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাই আমরা নিরুপায় হয়ে ছুরি, দা ও চাপাতির দাম একটু বেড়ে দিয়েছি। তা না হলে আমাদের লাভ হবে না। বাজার এলাকার আরেক দোকানি মিলন হোসেন বলেন, কাজের চাপে কখন খাওয়ার সময় চলে যাচ্ছে আমরা টেরও পাই না। চাপাতি (কাটারি) বিক্রি হচ্ছে বড় আকারের ৪০০-৫০০ টাকা। এবং ছোট আকারের চাপাতি ও কাটারি ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন আমাদের বেচাকেনা প্রায় তিন থেকে চার হাজার টাকা হচ্ছে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে আমাদের বিক্রি তত বাড়ছে।
এ ব্যাপারে ক্রেতা বাবলু আহমেদ বলেন, আমি একটি চাপাতি ৫০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছি। এ এছাড়া ওনেকে চাপাতি, ছুরি, কাটারি ও হাসুয়াতে ধার ও শান দেয়ার জন্য নিয়ে এসেছে।
এছাড়া নওগাঁ থেকে আসা ক্রেতা আলহাজ্ব নুর নবী জানান, অন্যদিনের চেয়ে ঈদ আসলেই কামাররা একটু মজুরি বেশি নেয়।
dainikajkermeghna.com