হিলিতে পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি ও টাকা নিয়ে আসামি ছেড়ে দেয়ার অভিযোগে বগুড়ার চতুর্থ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এএসআই শাহাদৎ হোসেনকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (০২ মার্চ) রাতে তাকে সদর থানা চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
শাহাদাৎ রাজশাহীর বাগমারা গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে। সে ৪ এপিবিএন নিশিন্দারা বগুড়ার এএসআই পদে কর্মরত ছিলেন। ওই ঘটনায় আরো কয়েকজন সদস্য জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে।
হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ জানান, এএসআই শাহাদত হোসেন সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ায় সম্প্রতি তাকে বগুড়ার চতুর্থ এপিবিএনে বদলি করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়েছে। এরপরও শাহাদত নিজেকে বদলাতে পারেননি। তিনি গত ১ মার্চ সন্ধ্যার দিকে মাইক্রোবাস নিয়ে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার মহড়াপাড়া গ্রামে যান। সাদা পোশাকে থাকা এএসআই শাহাদত নিজেকে ডিবি পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে কয়েকজনকে আটক করে মাইক্রোবাসে তোলেন। পরে টাকার বিনিময়ে তাদের ছেড়েও দেন। আটকদের মধ্যে আরমান নামে একজন নগদ টাকা দিতে ব্যর্থ হন। তিনি পুলিশদের দেয়া একটি নম্বরে ১০ হাজার টাকা বিকাশ করে মুক্তি পান।
ওসি আরও জানান, রাতে ঘটনাটি জানাজানি হলে আরমানের স্ত্রী তারামনি বেগম হাকিমপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম সোমবার রাতে বগুড়ায় অভিযান চালিয়ে সেই বিকাশ নাম্বারের মালিককে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে শাহাদৎ হোসেন নামের পুলিশের এএসআই কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।