ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের কে.এ খান হাফেজী মাদ্রাসায় ১০ শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করে গুরুতর জখম করেছে শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ। অভিবাভক ও এলাকাবাসী ঐ শিক্ষককে ধরে পুলিশে দিয়েছে।
এঘটনায় আহত শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলামের বাবা শামীম খলিফা বাদী হয়ে ৮ আগষ্ট ঝালকাঠি সদর থানায় শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নম্বর ৫।
অভিডুক্ত শিক্ষককে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রোববার আদালতে পাঠিয়য়েছে পুলিশ। আদালতের বিচারক এ.এস.এম তারেক শামস রোববার দুপুরে শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ’কে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
করোনাকালীন সময়ে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কে.এ খান হাফেজী মাদ্রাসা চালু রেখে পড়াশোনা চালিয়ে আসছিলেন মাদ্রাসাটির একমাত্র শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ। ৭ আগষ্ট দুপুরে ৩ টা দিকে শিশু কিশোর বয়সী শিক্ষার্থীরা দুষ্টুমী করছিলো। ঐ সময়ে ঘুমিয়ে থাকা শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহর ঘুম ভেঙে যায়। আর তাই সে ক্ষেপে গিয়ে কক্ষের দরজা আটকে ১৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১০ জনকে বেদম প্রহার করেন। এতে শিক্ষার্থীরা ব্যাথায় কান্নাকাটি করতে থাকলে সকল শিক্ষার্থীকে কক্ষের মধ্যে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। মারধরের বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য সকল শিক্ষার্থীকে ভয়ভীতি দেখানো হয়।
মাগরিবের নামাজের সময় পিছন থেকে সুকৌশলে নলছিটি উপজেলার বারৈকরন গ্রামের প্রবাসী আব্দুর রহিমের পুত্র মোঃ সিয়াম (৯) পালিয়ে কাঁদতে কাঁদতে পোনাবালিয়া বাজারে গেলে এলাকাবাসী বিষয়টি অবহিত হয়।
খবর পেয়ে রাতেই ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশ ওই মাদ্রাসায় গিয়ে শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ কে আটক করে নিয়ে আসেন।