মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ গৃহবধুকে নির্যাতন শেষে মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। ঝালকাঠির ওস্তাখান এলাকায় সোমবার এঘটনা ঘটলেও মঙ্গলবার দুপুরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গৃহবধুর পরিবারকে মুঠোফোন জানান। বিকেলে পুলিশ নিহতের স্বামী জাকির হোসেন মাঝিকে আটক করেছে। জাকির মাঝি সদর উপজেলার ওস্তাখান গ্রামের আ. মাঝির পুত্র। নিহত মুক্তা আক্তার শহরের কিফাইত নগর এলাকার মোস্তফা শরীফের মেয়ে। পরিবারের পক্ষে রুবেল খান অভিযোগ করে জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনে মুমুর্ষ হলে মুৃখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টার কথা বলে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেয়। সেখানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রাথমিক চিকিতসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিতসক। সেখানে চিকিতসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে মারা যায় মুক্তা আক্তার। দুপুরে সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট একেএম জাকির হোসেন মুৃঠোফোনে মোস্তফা শরীফকে জানান। ওই সময় থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট করে সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। মৃতদেহ গোসলের সময় মুক্তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিন্হ পাওয়া গেছে। নিহতের বাড়িতে লোকজন আসতে শুরু করলে স্বামী জাকির মাঝিও সেখানে যায়। সদর থানার এসআই আসাদ নিহতের পিতার বাড়ি থেকে জাকির হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। মুক্তা আক্তারের ১২ বছর বয়সী পুত্র মাহমুদ ও ৪বছর বয়সী জুই নামের কন্যা সন্তান রয়েছে। মেয়ের অকাল মৃত্যুতে কান্নায় মুর্ছা যাচ্ছেন পিতা মোস্তফা শরীফ, মাসহ অন্যান্য আত্মীয়রা। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম জানান, স্বামীর বাড়িতে অসুস্থ্য হয়ে বরিশাল হাসপাতালে মারা গেছে। পিতার অভিযোগ নির্যাতনের পরে মুখে বিষ ঢেলে হত্যা করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী জাকির হোসেনকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মামলা রুজু করা হবে।