প্রবাস থেকে হোসেন মোহাম্মদ মনিরঃ১৯৪৭ পর্যন্ত ইংরেজরা আমাদের দেশের সম্পদ লুটে তাদের নিজ দেশে পাচার করতো মানে বৈদেশে, আর ভারতবর্ষের লোকদের ব্লাডি ইন্ডিয়ান বলে গালি দিতো। ১৯৭১ পর্যন্ত পাকিস্তানি শোষকরা এই বাংলার অর্থ সম্পদ পাচার করে তাদের ওখানে নিয়ে গিয়ে নিজেরা আরাম আয়েশ করতো আর বাঙ্গালীদের ছোটা কাঁধকা কালা আদমি বলে অবমূল্যায়ন করে দাবিয়ে রাখতো। ব্রিটিশ গেলো পাঞ্জাবি গেলো অতঃপর এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাঙ্গালীদের বাংলাদেশ এলো, মানে দেশ আমার সম্পদও আমার যেহেতু স্বাধীন রাষ্ট্রের সবথেকে বড় দলিল সংবিধান আমাকে মালিকানা ঘোষণা দিয়েছে।
নিচের দুটো ছবির একটি হলো কানাডার অভিজাত এলাকা নাম তার ‘বেগম বাজার’ হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন দেশটি ভিনদেশ হলেও নামটা বাংলা কারণ বাঙ্গালী নামের একশ্রেণী নব্য লুটেরা গোষ্ঠী যারা বিগত দুই দশকে মা ও মাটিকে বিক্রি করে নিজ দেশের অর্থ পাচার করে সম্পদের পাহাড় গড়েছে কানাডা মালেশিয়া সহ অনেক ভিনদেশে। বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ, আদর্শ ন্যায় নীতি, দেশপ্রেম এই শব্দগুলো তাদের কাছে একেবারেই অপরিচিত, তাই তাদেরকে আমি বাঙ্গালী বলি না, উপরে উল্লিখিত ভিনজাতি ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি যারা আমাদেরকে লুটেছিলো ও শুষেছিলো এবং ইতিহাসের একটি ঘৃণিত অধ্যায় হয়ে আছে ঠিক তেমনি ঐ বেগম পাড়ায় স্থানান্তরিত ভিনজাতির নব্য লুটেরাগুলোকে দেশদ্রোহী হিসেবেই ভবিষ্যত বাঙ্গালী প্রজন্ম আখ্যায়িত করবে এবং আমিও তাই করি ।।
দ্বিতীয় ছবিতে প্রবাসে কর্মরত আমার ভাইয়েরা,
বৈধভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রায় এক কোটি বাঙ্গালী প্রবাসী কর্মরত আছেন এর মধ্যে আমি হোসেন মনিরও একজন, যারা মোটামুটি সবাই মধ্যবিত্ত ও নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের, বিশাল দেশপ্রেম বুকের মধ্যে গুঁজে রেখে সংসারের একটুখানি স্বচ্ছলতা ফেরাতে দেশের বাড়িতে একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই করতে, পরিবারের সদস্যদের মুখে একটু হাসি ফোটাতে নিজের জীবন যৌবনের হিসাব ভুলে 50° তাপমাত্রাতেও হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন দিনে এবং রাতে বিদেশের মাটিতে,
যাদের বদৌলতে দেশের জিডিপির অগ্রগতি, রেকর্ড পরিমাণ ব্যাংক রিজার্ভ, দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন সহ বিশ্বে আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে নিজ দেশের ঈর্ষণীয় সাফল্য ছড়িয়ে পড়ছে। আমার বিশ্বাস ভবিষ্যত প্রজন্ম যাদেরকে মূল্যায়ন করবে স্বনির্ভর দেশ গড়ার কারিগর ও দেশপ্রেমিক হিসেবে।
লক্ষ লক্ষ প্রবাসীরা বছরের পর বছর রক্ত পানি করা ঘাম জড়িয়ে দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন আর অন্যদিকে একশ্রেণীর লুটেরার দল আমলা,রাজনৈতিক, ব্যাংক কর্মকর্তা যারা দেশের টাকা পাচার করে বিদেশে সেকেন্ড হোম বানিয়েছে এবং বানাচ্ছে।
গণপ্রজাতন্ত্রের বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার নিকট সকল প্রবাসীদের পক্ষ থেকে আকুল আবেদন দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপনার জিরো টলারেন্স নীতিতে ঐ সমস্ত লুটেরাদের একটা লিস্ট তৈরি করে এর যথাযথ প্রতিকার করবেন যারা দেশের অর্থ পাচার করে বিদেশে বিলাসবহুল সম্পদ গড়েছে, কারণ এরা শুধুমাত্র প্রবাসী শ্রমিকদের বিরুদ্ধেই অবস্থান করছে না এরা দেশের অগ্রগতিতেও পথ আগলে আছে।