ছাত্রলীগের কার্যক্রমের সঙ্গে সাম্প্রতিককালের জঙ্গিদের কার্যক্রমের মিল রয়েছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নূর। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
গত সপ্তাহে বগুড়ায় ইফতার মাহফিলে যাওয়ার পথে তার ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় তিনি পহেলা বৈশাখের উৎসবে ছাত্রলীগের অগ্নিসংযোগের বিষয়টিও উল্লেখ করেন। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানীর পক্ষ থেকে তাকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে এক নম্বর সহ-সভাপতি অথবা এক নম্বর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের অফার দেওয়া হয় বলেও উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, মুসলমানদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র রমজানে হামলা করে তারা প্রমাণ করছে যে তারা সাম্প্রদায়িক শক্তিতে পরিণত হচ্ছে। তাদের সামগ্রিক কার্যক্রম সাম্প্রতিককালের জঙ্গিদের কার্যক্রমের সঙ্গে সাদৃশ্য মনে হচ্ছে আমাদের। কিছুদিন আগেও তারা বাঙালির ঐতিহ্যবাহী উৎসব পহেলা বৈশাখে অগ্নিসংযোগ করেছে। তারা এই ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের কার্যক্রমের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানান।
গত ২৫ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইফতার মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে নুরুল হক নুর বলেন, সেখানে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির নেতৃত্বে ইফতার মাহফিল প্রতিহত করা হয় তখন আমরা রাস্তার পাশে বসে ইফতার করেছি। তার পরবর্তী দিন বগুড়ায় আমাদের ইফতার মাহফিল ছিল, সেখানে যাওয়ার আগে আমি থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেছিলাম।
তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত থাকার পর পুলিশের সহযোগিতা চাইলে তারা সহযোগিতা করেননি। তাই আমরা জেলার অন্যান্য লোকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা আমাদেরকে যাওয়ার অনুমতি দেন। অথচ তারা আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি।
‘আমরা সেখানে জেলা গ্রন্থাগারের সামনে পৌঁছালে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে হামলা হয়। তারা জঙ্গি হামলার মতো আমাদের ওপর হামলা করে। এক পর্যায়ে আমি পড়ে গেলে আমার সঙ্গে রাতুলসহ অন্যান্যদের রড দিয়ে পিটায় এবং আমার পায়ের ইট দিয়ে আঘাত করে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা ব্রাহ্মণবাড়ির ঘটনাটি ছাত্রলীগ সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানাই, তারা বলেছেন তারা ব্যবস্থা নিবেন। অথচ পরের দিনও বগুড়াতে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের মনে হচ্ছে এগুলো পরিকল্পিত একটি ঘটনা। আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে হামলাগুলো করানো হচ্ছে। সূত্র:- ইত্তেফাক