করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহান থেকে লকডাউন প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। দীর্ঘ ১১ সপ্তাহ পর মঙ্গলবার মধ্যরাতে শহরটির ওপর থেকে সব বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হয়।
এদিকে জাপানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রাজধানী টোকিওসহ আক্রান্ত সাতটি প্রদেশে মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে।
এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ লাখের বেশি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৮২ হাজারের বেশি মানুষের।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ১২টায় কাউন্টডাউনের মধ্যে দিয়ে প্রত্যাহার করা হয় চীনের উহান শহরের লকডাউন। এসময় উৎসবের নগরীতে পরিণত হয় উহান। পুরো শহরজুড়েই করা হয় আলোকসজ্জা।
নাগরিকরা বলেন, গেল তিনটা মাস অনেক কষ্ট করেছি আমরা। তবে শেষ পর্যন্ত জয় আমাদেরই হয়েছে। আমরা এখন ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছি।
বুধবার সকাল থেকেই আবারো মানুষ চলাচল শুরু করেছে শহরটিতে। একইসঙ্গে চীনের অন্যান্য প্রদেশের সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় শহরটি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষদিকে উহানে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হলে গত ২৩ জানুয়ারি পুরো শহরটি লকডাউন করে দেয়া হয়। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে চীনে এ পর্যন্ত ৩ হাজার তিনশো’র বেশি মানুষ মারা গেছে যাদের বেশিরভাগই উহানে।
এদিকে চীনে যখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে তখন জাপানে মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে জানান, ভাইরাসটি বিস্তার হয়েছে এমন প্রদেশে আগামী ৬ মে পর্যন্ত জরুরি অবস্থা জারি থাকবে।
শিনজো আবে জানান, করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে অনেকের। তাই এর সংক্রমণ ঠেকাতে সাতটি প্রদেশে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করছি।
ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডেও। গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশদুটিতে ছয়শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে ইরানেও মারা গেছেন শতাধিক মানুষ। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতেও।