![](https://dainikajkermeghna.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
মোঃ শহিদুজ্জামান রনি: কুমিল্লা মেঘনায় প্রায় ২০০০ মানুষের ভোগান্তির তোয়াক্কা না করে সরকারি দিঘিতে পানি নিষ্কাশন করছে উপজেলা প্রশাসন, সাধারন মানুষের অসন্তুষ্টি প্রকাশ। সরে জমিনে দেখা যায় ৬ নং গোবিন্দপুর ইউনিয়ন এর মির্জানগর ও দড়ি মির্জানগর গ্রামের পশ্চিম ও পূর্ব পাশে অবস্থিত দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্যবাহী দিঘি, প্রায় ২০০০ হাজার লোক ব্যবহার করে আসছে, গোসল ও রান্নাসহ দৈন্যদিন কাজে এই জলাশয়ের পানি ব্যবহার করে মির্জানগর এবং দড়ি মির্জানগর এর সাধারণ মানুষ। উপকারভোগী এলাকার লোকজন মোঃ শাকিল, বলেন আমাদের আসে পাশে কোন নদী না থাকায় একমাত্র পানির উৎস এই জলাশয় , যদি পানি নিষ্কাশন করা হয় তাহলে দুই গ্রামের লোকজনকে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হবে। মোঃ রুহুল আমিন বলেন শুনেছি মাছ খাওয়ার জন্য উপজেলা কর্মকর্তাদের নির্দেশেই মাছ ধরার জন্যই এই জলাশয়ের পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে। মোঃ দ্বীন মোহাম্মদ বলেন আমাদের দুই গ্রামের মানুষের ভোগান্তির থেকে কি উপজেলা প্রশাসনের মাছ খাওয়াটা বড় হয়ে গেল। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম আক্তার এর কাছে জানতে চাইলে বলেন এটা সরকারি পুকুর সরকারি সবাই মিলে আগামীকাল মাছ ধরবে আর কোন সমস্যা? পারমিশন দিছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন পারমিশন দিয়েছি ওটা আমাদের ইউনিয়ন তহসিল অফিস করতেছে,অর্থাৎ আমাদের রাজস্বই করতেছে, এক পুকুর সেচতেই ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছে মেঘনাবাসির কি কাজকর্ম নাই, আচ্ছা ঠিক আছে এটা মাছ ধরার জন্যই সেচা হচ্ছে যদি মনে করেন মেঘনবাসি বা এলাকার মানুষের গোসলের জন্য দরকার হয় তাহলে তারা ওই মেশিনের খরচ টা দিয়ে দিবে আমরা আবার পুকুরে পানি দিয়ে দেব মাছ ধরার পরে। আরেক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন এটা নিয়ে আপনাদের সাংবাদিকরা এত মাথা ঘামাচ্ছেন কেন?