Site icon দৈনিক আজকের মেঘনা

দাউদকান্দিতে নির্ধারিত দামে কৃষকদের কাছে থেকে ধান ক্রয় করতে মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী’র নির্দেশ।

 

দৈনিক আজকের মেঘনা ডট কম স্টাফ রিপোর্টার লিটন সরকার বাদল,

২০ মে ১৯ ইং, দাউদকান্দি উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধানের মূল্য ২৬ টাকা বেধে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত এই দামেই কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করতে নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের। কারো বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্হা নেওয়ার হুঁশিয়ারি।

দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী (অব.) বলেছেন, এবার ধান ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার রাজনৈতিক প্রভাব বরদাস্ত করা হবে না। সংশ্লিষ্টদের কড়াভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে করে প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হয়।

সোমবার দুপুর ১টায় দাউদকান্দি উপজেলার স্থানীয় খাদ্য সরবরাহ গুদামে (এলএসডি) বোরো ধান সংগ্রহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধানের মূল্য ২৬ টাকা বেধে দেওয়া হয়েছে। কৃষকেরা যাতে ধানের প্রকৃত মূল্য পান সেই জন্য আজ থেকে ২০ দিন আগে জেলায় জেলায় সরকারিভাবে ধান-চাল ক্রয়ের বরাদ্দ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের সুবিধার জন্য মৌসুমের শুরুতেই ধান ক্রয় কার্যক্রম শুরু করা হয়। এবার ধান ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার রাজনৈতিক প্রভাব বরদাস্ত করা হবে না।

প্রকৃত কৃষকেরা যাতে ন্যায্য মূল্যে ধান দিতে পারে সে জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধান ক্রয় প্রক্রিয়ায় যাতে কোনো প্রকার অনিয়ম না হয়, সে ব্যাপারে সাংবাদিক, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানিয়েছেন উপেজলা চেয়ারম্যান। ধান ক্রয়ের ক্ষেত্রে অনিয়ম হলে তা তুলে ধরতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। কারও বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান

মেজর মোহাম্মদ আলী (অব.)। দাউদকান্দি উপজেলায় সকল কার্ডধারী কৃষকরা এবার সরকারের কাছে ৩ মন থেকে ৩ টন পর্যন্ত বিক্রি করতে পারবেন। খাদ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে মেজর মোহাম্মদ আলী (অব.) বলেন, “বর্তমানে ধান সংরক্ষণের জন্য সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। তবে কৃষকেরা যেন আগামীতে ধানের ন্যায্য মূল্য পান সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে কিছু প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে সারাদেশে ১০ লাখ মেট্রিক টন ধান সংরক্ষণ করা যায় এরকম আধুনিক প্যাডি সাইলো (ধান সংগ্রহ গুদাম) নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া বিদেশে চাল রপ্তানি করা যায় কিনা- এরকম চিন্তা-ভাবনাও রয়েছে সরকারের।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দাউদকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, কৃষিবিদ সারোয়ার জামান, দাউদকান্দি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন, দাউদকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আহসান হাবিব চৌধুরী লিলমিয়া, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মোঃ আনোয়ার হোসেন, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ রকিবউদ্দিন আহম্মেদ রকিবসহ আরো অনেকে।

FacebookTwitterEmailShare
Exit mobile version