ঘূর্ণিঝড় ফণীর সবশেষ অবস্থান জানতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। এছাড়া হটলাইন ১০৯০ নম্বরে ফোন করেও মানুষ আবহাওয়ার খবরও জানতে পারছেন না।
বৃহস্পতিবার বিকালে bmd.gov.bd আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই ওয়েবসাইটে ঢোকার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সাইটটিতে ঢোকা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে আবহাওয়া অফিসে ইত্তেফাক থেকে ফোন করা হলে মেট্রোলজিক্যাল এসিসট্যান্ট আশরাফুল আলম বলেন, একসঙ্গে অনেক হিট হওয়ায় ওয়েবসাইটটি এখন প্রবেশ করা যাচ্ছে না। ওয়েবসাইট ঠিক করতে ঘণ্টা চারেক সময় লাগতে পারে।
এ দিকে ঘূর্ণিঝড় ফণী বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে। বাড়ছে তার গতিবেগ। ৪ মের আগে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ফণী। এতে করে হতে পারে জলোচ্ছ্বাসও। আর এতে উপকূলে নিম্নাঞ্চল ডুবে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট। ছবি: ইন্টারনেট
পটুয়াখালীর পায়রা ও বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ফণী সকাল ছয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।