গোপালগঞ্জে ৯ বছর বয়সের প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার গোপীনাথপুর (পশ্চিম পাড়া)
গ্রামে। ওই রাতেই শিশুটিকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়।
শিশুটির মা তানিয়া বেগম জানান, অসুস্থ শাশুড়ি ও ছেলে-মেয়েদের নিয়ে
গোপীনাথপুর পশ্চিমপাড়ার নিজ বাড়িতে বসবাস করেন। স্বামী ঢাকায় কাজী
ফার্মের একটি শাখায় চাকুরি করেন। তিনি নিজেও কাজী ফার্মে কাজ করেন বলে
জানান। মঙ্গলবার সকালে তিনি অফিসে যাওয়ার পর ওই শিশু অসুস্থ দাদীর জন্য পানি
আনতে যায়। এসময় পাশের বাড়ির মৃত খোকা খাঁর ছেলে রহিজ খাঁ (৩০)
শিশুটিকে কৌশলে পাশের পাট ক্ষেতে নিয়ে যায়। প্রথমে শিশুটির মুখের মধ্যে
গাছের পাতা ঢুকিয়ে মুখ বন্ধ করে তাকে ধর্ষণ করে। কাউকে একথা জানালে মেরে
ফেলার ভয় দেখায়। পরে মেয়ের কান্নাকাটিতে পরিবারের লোকজনের জিজ্ঞাসায় সে
ঘটনা খুলে বলে। সন্ধ্যায় অফিস থেকে বাড়িতে ফিরে ঘটনা শুনতে পান। এসময়
গোপীনাথপুর তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ করে এবং রাতেই হাসপাতালে ভর্তি হয়।
গোপীনাথপুর তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মোঃ আবু নাঈম বলেন, অভিযোগ পেয়ে
আমরা রাতেই অভিযুক্ত রহিজ খাঁ’র বাড়িতে গিয়েছি। তবে তাকে পাওয়া যায়নি।
অভিযুক্তকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ অসিত
কুমার মল্লিক বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে রাতে ৯ বছরের এক প্রতিন্ধী শিশু
ভর্তি হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার পর আমরা বলতে পারব শিশুটি ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে
কি না।