গোপালগঞ্জ শহরের পূর্ব মিয়াপাড়ায় শ্বশুড়বাড়িতে সাহিদা আলম
(সুমনা) আত্মহত্যা করেনি; তাকে নির্যাতনের পর হত্যা করে ঝুলিয়ে
রাখা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১টায় গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ-
সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন সুমন্#া৩৯;র মা রাজিয়া আলম। তার
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বড় ছেলের বৌ তাসপিয়া ইসলাম।
রাজিয়া আলমের অভিযোগ, ২০১৬ সালে পূর্ব মিয়াপাড়ার ইদ্রিস
সরদারের ছেলে করিম সরদার (সজীব) এর সঙ্গে তার মেয়ে সুমনা’র
বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক দাবী করে সুমনা’র উপর
শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল স্বামীসহ
শ্বশুড়বাড়ির লোকজন। গত ২৮ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে মেয়ের
আত্মহত্যার খবর দেয়। পরিবারের লোকজন নিয়ে দ্রæতই ঘটনাস্থলে
পৌছাই। গেটে পুলিশ পাহারায় তালাবদ্ধ থাকে। মেয়ের লাশ দেখতে না
দিয়ে ফিরিয়ে দেয় আমাকে। পরে অনেক দৌড়াদৌড়ি শেষে পুলিশ
সুপারের হস্তক্ষেপে লাশের ময়না-তদন্ত হয়। এজন্য তিনি দাবী করছেন, তার
মেয়ে আত্মহত্যা করেনি; তাকে পূর্বের ন্যায় নির্যাতনের পর হত্যা
করে রশি দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া
অভিযুক্তরাও পুলিশের ছত্রছায়ায় ঘটনাস্থল থেকে সরে পড়ে। তিনি বলেন,
পুলিশের এহেন আচরণে আমরা ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশংকা করছি।
সংবাদ-সম্মেলনে উপস্থিত সুমন্#া৩৯;র মা রাজিয়া আলম, ভাই রাজিব
মুন্সী, সজিব মুন্সী, খালা লিপি বেগমসহ পরিবারের লোকজন
সুমনা’র এ মৃত্যুকে হত্যাকান্ড উল্লেখ করে সুষ্ঠ তদন্ত ও দোষীদের
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ ছানোয়ার
হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাদেরকে মামলা করার কথা বলা
হলেও তারা তা করেনি। আমরা নিজেদের উদ্যোগে জিডি করে মরদেহের
ময়না তদন্ত সম্পন্ন করেছি। রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা
নেয়া হবে। তবে তারা পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে তা
সঠিক নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।