করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় গোপালগঞ্জে চীফ
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন আবেদন
গ্রহন, শুনানী ও নিষ্পত্তির মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
গত বুধবার (১৩ মে) থেকে হাইকোর্ট কর্তৃক জারীকৃত বিশেষ নির্দেশনা অনুসরণ
করে আদালতের এসব কার্যক্রম শুরু হয়। আদালত সূত্রে জানা যায়, গত দু’দিনে (১৩ মে ও
১৪ মে) গোপালগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভার্চুয়াল উপস্থিতির
মাধ্যমে প্রায় শতাধিক জামিন সংক্রান্ত আবেদন দাখিল হয়।
এ দুই দিনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হুমায়ুন কবির ৬৬ টি জামিন
শুনানি শেষে ৪০টি জামিন মঞ্জুর এবং ৩৮ টি না মঞ্জুরের আদেশ দেন।
সরকারি ছুটি ব্যতীত প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা হতে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত
ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আদালতের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে গোপালগঞ্জ চীফ
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন
মোল্লা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
এর আগে, জেলা আইনজীবী সমিতির আইনজীবীরা প্রথমে ভার্চুয়াল উপস্থিতির
মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার বিরোধিতা করে ১১ ও ১২ মে দু’দিন কোন
জামিন আবেদন দাখিল করেন নাই। যদিও পরে তারা তাদের অবস্থান থেকে সরে আসেন।
গোপালগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক এডভোকেট জুলকদর রহমান
বলেন, আমরা জরুরী বৈঠক ডেকে রেজুলেশনের মাধ্যমে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে
আদালতের কার্যক্রম পরিচালনায় সরকারের সিদ্ধান্ত স্বাগত জানিয়েছি।
এছাড়া করোনা সংকটকালীন সময়ে ন্যায় বিচারের স্বার্থে অনলাইনে আসামির জামিন
আবেদন, শুনানি ও নিষ্পত্তি শেষে জামিন মঞ্জুর এবং জামিন নামঞ্জুরসহ বিভিন্ন
প্রয়োজনীয় আদেশ কারাগারে অনলাইনের মাধ্যমে প্রেরণসহ যাবতীয় কর্মকান্ড
ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সম্পন্ন করার সময় উপযোগী এসিদ্ধান্তকে সাধুবাদ
জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সিনিয়র আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার একটি মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন এমন একজন আসামী নাম
প্রকাশ না করার শর্তে আদালতের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে গণ মাধ্যমকে বলেন,
করোনা মহামারির মধ্যে আদালতে উপস্থিত না হয়ে অন লাইনে আবেদন করে জামিনে মুক্ত
হতে পারবো ভাবতেই পারিনি। তিনি আরও বলেন, এর ফলে বিভিন্ন মামলায় বিভিন্ন
মামলায় আটক, বিচার প্রার্থী ও বিচারকরা করোনা সংক্রামণের ঝুঁকি মুক্ত থাকবেন।