দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ জেলায় রেশম চাষে সফলতা এসেছে। রেশম চাষ করে অনেক দরিদ্র পরিবার আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে পেয়েছে। রেশম চাষে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড এর উদ্যোগে এ সফলতা এসেছে বলে জানিয়েছে রেশম চাষীরা। বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড সিবিএ এর উদ্যোগ, রেশম বোর্ডের প্রকল্পের অর্থায়নে এবং রেশম গবেষণা ইনস্টিটিউটের কারিগরি সহায়তায় ২০১৬ সালের নভেম্বরে টুঙ্গিপাড়ায় রামচন্দ্রপুরে, গোপালগঞ্জ সদর ঘোষেরচর ও গোপীনাথপুরে রাস্তার পাশে ৬ টি বøকে ৬ হাজার তুঁতচারা রোপন করা হয়। তুঁতগাছগুলি আংশিক উৎপাদনক্ষম হলে ২০১৮ সালের মার্চে রেশম বোর্ডের গোপীনাথপুর উপকেন্দ্রে পরিক্ষা মূলক রেশম গুটি উৎপাদন করে।
তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের মার্চে টুঙ্গিপাড়ার রামচন্দ্রপুরে ৬ জন, ঘোষেরচর ৪ জন, গোপীনাথপুরে ৭ জন সহ মোট ১৭ জন চাষী
উন্নত জাতের রেশম গুটি উৎপাদন শুরু করে। রামচন্দ্রপুরের রেশম চাষী মো. মুরাদ সরদার বলেন, বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় আমি বাড়িতে রেশম গুটি উৎপাদন করছি। আমার স্ত্রী এ কাজে সহায়তা করছে। যার ফলে সংসারে বাড়তি আয় হচ্ছে।
একই গ্রামের শামসুন্নাহার বলেন, রেশম উন্নয়ন বোর্ডের আর্থিক সহযোগিতায় নিজ বাড়িতে একটি ঘর পেয়েছি। সেখানে রেশমগুটি উৎপাদন হচ্ছে। এখন বাড়িতে বসেই বাড়তি ইনকামের সুযোগ হয়েছে। বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের (সিবিএ) সভাপতি মো. আবু সেলিম বলেন, এ জেলার মাটি তুঁতচাষের উপযোগী হওয়ায় মানসম্মত তুঁতপাতা উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি। এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ও আদ্রতা পলুপালনের সহায়ক হওয়ায় উন্নতমানের রেশম গুটি উৎপাদন হচ্ছে।
এছাড়াও টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া রাস্তার পাশে, বাঁধে ও নবনির্মিত রেল লাইনের ঢালে যদি তুঁতগাছ রোপন করা যায় তাহলে জেলায় হাজার হাজার
রেশম চাষী বিশেষ করে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং নারী ক্ষমতায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা। তিনি আরো জানান গোপালগঞ্জে রেশম চাষের উন্নয়নে সহায়ক ভুমিকা রাখার জন্য বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের জোনাল রেশম
সম্প্রসারণ কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।