দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি,গোপালগঞ্জে সদর উপজেলার ১৪নং নিজামকান্দি ইউপি- চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১১ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।সম্প্রতি ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার মোঃ রিজাউল সরদার গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও র্যাব-৮ এর মাদারীপুর ক্যাম্পের পরিচালক বরাবরে পৃথকভাবে এই অভিযোগ দাখিল করেছেন।
এছাড়াও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ্ব কাজী নওশের আলী জেলা প্রশাসক বরাবরে বর্তমানচেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কেটে নেয়াসহ চৌকিদার- দফাদার নিয়োগে দুর্নীতির পৃথক একটি অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মহব্বত হোসেন জুয়েল মোল্যা বয়ষ্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যাক্তা ভাতা, পঙ্গু বা প্রতিবন্ধী ভাতা ও গর্ভবতী ভাতাসহ বিভিন্ন প্রকার ভাতা প্রদানে ২-৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন।
ভিজিডি কার্ড পরিবর্তনে ৪-৫ হাজার টাকা । ঘর দেয়ার কথা বলে অনেকের কাছ থেকে ১০-১২ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়েছেন।
এছাড়াও তিনি সার-বীজ বিতরণ, চল্লিশ দিনের কর্মসূচি, এলজিএসপি, কাবিখা, কাবিটা, টিআর, সোলার-প্যানেল ও টিউব-অয়েল, ঘরের টিন ও ল্যাট্রিন প্রকল্পসহ প্রতিটি প্রকল্প থেকে কৌশলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারী, বাল্যবিবাহ ও ধর্ষণসহ একাধিক জিআর মামলা রয়েছে।
অভিযোগে আরও জানা যায়, তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে যখন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, তখন তার জমি-জমা, টাকা-পয়সা, কিছুই ছিল না। বর্তমানে সে কোটি টাকার মালিক। ৩/৪ খানা গাড়ী। নামে-বেনামে ব্যাংক ব্যালান্স রয়েছে। নিজবাড়িতে
বিল্ডিং এর কাজ করছেন। ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ্ব কাজী নওশের আলী বর্তমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে মেহগনি, শিরিস, চম্বল, শিশু ও নিম গাছসহ বিভিন্ন
প্রকার সরকারি গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ করেছেন। চৌকিদার, দফাদার নিয়োগেও বর্তমান চেয়ারম্যান উৎকোচ গ্রহণ করেছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারী সাবেক চেয়ারম্যান ও মেম্বার বলেছেন, বর্তমান চেয়ারম্যানের লাঠিয়াল বাহিনীর ভয়ে তার এসব দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে সাধারণ লোকজন দূরে থাক, পরিষদের মেম্বাররাও মুখ খুলতে সাহস করে না। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের কারণে
ইউনিয়নের বাস্তব অবস্থা তুলে ধরে আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দাখিল করেছি। সঠিকভাবে তদন্ত হলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে।