গোপালগঞ্জে গলা কেটে ব্যাটারী চালিত ভ্যান ছিনতাইকারী ওমর কাজীসহ ৪
দুষ্কৃতিকারীকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার ও ছিনতাইকৃত ভ্যান উদ্ধার করেছে
পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন
পিপিএম(বার) এর নেতৃত্বে মাদারীপুর জেলার টেকেরহাট, গোপালগঞ্জ জেলার
কোটালীপাড়া ও সদর থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান করে প্রযুক্তির সহায়তায় ভ্যান
ছিনতাইকারী ওমর কাজীসহ ৪ দুষ্কৃতিকারী গ্রেফতার করে এবং ছিনতাইকৃত
ভ্যান উদ্ধার করে। গ্রেফতাকৃতরা হলেন, কোটালীপাড়া মাঝবাড়ি গ্রামের মুছা
কাজীর ছেলে ওমর কাজী (২২), মোশারফ দাড়িয়ার ছেলে সোহেল
দাড়িয়া(৩২), কাশিয়ানি কলসী ফুকরা গ্রামের শের আলী ছেলে রবিউল ও
গোপালগঞ্জ সদরের মেরী গোপিনাথপুর গ্রামের আঃ মান্নানের ছেলে হানিফ(২৮)।
তাদের আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়।
পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন পিপিএম(বার) বলেন,
ওমর কাজীর তার চাচাত ভাই সোহেলের সাথে পূর্বপরিকল্পনা মতে গত ১৩ই জুলাই
বিকেল ৪ টায় পূর্বপরিচিত ব্যাটারীচালিত উত্তর হিরন গ্রামের ভ্যানচালক মৃত
শাহ আলম খান ছেলে শরিফুল খানকে ৩০০ টাকায় ভাড়া করে গোপালগঞ্জ শহরে নিয়ে
আসে। পরে শহরের লঞ্চঘাট এলাকা থেকে একটি চাকু কিনে চাচাত ভাই সোহেলের
ভাড়া বাসায় গিয়ে শরিফুলসহ ৩ জনকে গাঁজার আসরে বসিয়ে ওমর ও সোহেল
ভ্যানের তালা ভেঙ্গে ভ্যান চুরির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এরপর ওমর কাজী শরিফুলকে নিয়ে
রাত ১০ টার দিকে গোপালগঞ্জ হতে কোটালীপাড়া বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এবং
মাঝবাড়ী বাজারের কাছে পৌছলে শরিফুলকে খুন করে ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে
ওমর তার কোমরে থাকা ছুরি দিয়ে ভিকটিম শরিফুলের গলায় পোছ মারে। শরীফুল ভ্যান
থেকে পড়ে যায় এবং মারা গেছে মনে করে ওমর ভ্যান ছিনতাই করে গোপালগঞ্জ চলে
আসে এবং পরদিন সকালে ওমর কাজী তার চাচাত ভাই সোহেল ও রিকশাচালক
হানিফের মধ্যস্থতায় রবিউলের নিকট ৮ হাজার টাকায় উক্ত ছিনতাকৃত ভ্যান বিক্রি
করে।
শরিফুলকে মুমুর্ষু অবস্থায় ২জন পথচারী প্রথমে কোটালীপাড়া ও পরে গোপালগঞ্জ
সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায়
তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেন। শরিফুল বেঁচে গেলেও এখনো
মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।