প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুজিববর্ষের প্রথম উপহার ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট)। অতীতের মতো আর গলাকাটা পাসপোর্ট হবে না। ফলে মানুষ আর ধোঁকায় পড়বে না।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরাও পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন সেবাকে যুগোপযোগী করতে ই-পাসপোর্ট প্রদান শুরু করলাম। দক্ষিণ এশিয়ায় আমরাই প্রথম ই-পাসপোর্ট শুরু করলাম। বাংলাদেশ আরও একধাপ এগিয়ে গেল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের হাতে ই-পাসপোর্ট পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আরও একটি মাইলফলক স্পর্শ করা হলো।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের সব উদ্যোগকে ডিজিটাল কার্যক্রমে রূপান্তরিত করেছে। দেশের অভ্যন্তরে ৬৪টি জেলায় ৬৯টি পাসপোর্ট অফিস, ৩৩টি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট, বিদেশস্থ ৭৫টি বাংলাদেশ মিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা উইং-এর মাধ্যমে পাসপোর্ট, ভিসা ও ইমিগ্রেশন সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের সরকার রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এ দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন সুখে এবং শান্তিতে বসবাস করতে পারে সে জন্য আমরা ডেল্টাপ্লান ২১০০ ঘোষণা করেছি। ১০০ বছর পর এ দেশের মানুষ কেমন দেশ পাবে সে পরিকল্পনাও আমরা প্রণয়ন করেছি। দেশের মানুষের কল্যাণেই এই সব পরিকল্পনা।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধানমন্ত্রীকে ই-পাসপোর্ট হস্তান্তর করেন। ই-পাসপোর্টের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান অনুষ্ঠানে একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ স্বাগত বক্তব্য দেন।
দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে চালু হলো ই-পাসপোর্ট। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বে ১১৯তম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট চালু করল বাংলাদেশ।