গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার লোহারংক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফিরোজা খানমের বিরুদ্ধে অনৈতিক কার্যক্রম ও প্রধান শিক্ষক লিপটি রানী পালকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ এনে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী বিদ্যালয়টির সামনের মাঠে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল লোহারংক গ্রামের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিদ্যালয় মাঠে এসে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।
এ সময় অভিভাবক শাহিন তালুকদার, হাসি বেগম, নাছিমা বেগম, শিক্ষার্থী শুকুর আলী দাড়িয়া, তরিকুল ইসলাম শেখ বক্তব্য রাখে।
বক্তারা বলেন, ফিরোজা খানম বিদ্যালয়ের সময় মতো উপস্থিত হন না। ঠিক ভাবে ক্লাস নেন না। বিদ্যালয়ের যতো সময় থাকে তার অধিকাংশ সময়ে মোবাইলে কথা বলেন। আমরা কেউ কিছু বললে আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। ফিরোজা খানম বিদ্যালয়টির শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে ফেলেছে। তার কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা কোন নীতি নৈতিকতা শিখতে পারছে না। ফিরোজা খানম গত কয়েকদিন আগে আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিপটি রানী পালকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেছে। আমরা সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে ফিরোজা খানমের শাস্তি দাবি করছি। আমরা চাই তিনি এই বিদ্যালয় থেকে অন্য বিদ্যালয়ে বদলী হয়ে চলে যাক।
এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক ফিরোজা খানমের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি তার বিরুদ্ধে অনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রধান শিক্ষক লিপটি রানী পাল মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকে হয়রানি করছে।
প্রধান শিক্ষক লিপটি রানী পাল বলেন, ফিরোজা খানম প্রায়ই দেরী করে বিদ্যালয়ে আসেন। বিদ্যালয়ের কাছে তার বাড়ি হবার কারণে দুই একটি ক্লাস নিয়েই বাড়ি চলে যায়। এ বিষয়ে কোন অভিভাবক কিছু বললে ফিরোজা খানম অভিভাবকদের সাথে অসৌজন্যম‚লক আচরণ করেন। আমি কখনো কিছু বললে তিনি আমাকে প্রায়ই মারতে আসেন। আমি বিষয়টি বিভিন্ন সময়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ আমার অফিসারদের জানিয়েছি। কিন্তু আমি কোন প্রতিকার পাইনি।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুছা বিশ্বস বলেন, ফিরোজা খানমকে আমরা অনেকবারই সংশোধন হতে বলেছি। কিন্তু তিনি আমাদের কথা শুনছেন না।
বিষয়টি আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার বিদ্যারতন বিশ্বস বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্তে যদি সহকারী শিক্ষক ফিরোজা খানম দোষী হয় তা হলে বিভাগীয় ভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।