গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় চাঞ্চল্যকর কৃষক নীখিল তালুকদার হত্যা মামলায় পুলিশের এএসআই শামীম হাসান ও পুলিশের সোর্স মো.রেজাউলকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় পুলিশের উচ্চ মহলের নির্দেশে সোমবার দুপুরে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ তাদেরকে আটক করে গোপালগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করেন। পরে কোটালীপাড়া আমলী আদালতের বিচারক, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাঞ্চন কুমার কুন্ডু দু'জনকেই জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।এর আগে রোববার রাতে নিহতের ছোট ভাই মন্টু তালুকদার বাদী হয়ে এএসআই শামীম হাসান ও পুলিশের সোর্স মো.রেজাউলের নামে কোটালীপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (কোটালীপাড়া থানা মামলা নং-১)উল্লেখ্য, কোটালীপাড়া উপজেলার রামশীল ইউনিয়নের রামশীল গ্রামের নীলকান্ত তালুকদারের ছেলে কৃষক নীখিল তালুকদারকে গত মঙ্গলবার (২ জুন) তাস খেলার অপরাধে ধরে এএসআই শামীম হাসান নির্মমভাবে হাঁটু দিয়ে মেরুদন্ডে আঘাত করে মারাত্মক আহত করে, পরে এলাকাবাসী ও স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক (৩ জুন) তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের নিকট নীখিল তালুকদারের লাশ হস্তান্তর করেন শাহবাগ থানা পুলিশ। কৃষক নীখিলের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন যাবত এলাকায় চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনায় সেই ক্ষোভ প্রশমিত হয়েছে বলে জানা গেছে।