মোঃ রাফিউল হক সুমন :
আজ বহুদিন পর তোমাকে নিয়ে লেখা, বহুদিন যাবৎ তোমাকে দেখার জন্য কনিষ্ঠদের অনেক আকুতির পর তা আমাকে দিতে পারেনি, অবশেষে একজন কনিষ্ঠা ভগ্নি আমাকে আকাঙ্খিত সেই বৃক্ষের ছবি পাঠাল, অনেক ধন্যবাদ তাকে, তার এ উদ্যোম দেখে অনেকের মত আমারও মনে হয়েছে এ সমাজে এ সংসারে নারীর ভুমিকা কোন অংশে কমতো নয়-ই বরং অনেক বেশী, বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় আমরা তা ইতোপূর্বে দেখেছি, নারীরা সত্যিই এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যাবে, বহুকাল পূর্বে প্রিয় কবি যথার্থই বলেছিলেন “এ বিশ্বে যা কিছু মহান চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর ” অধুনা এ বিশ্বে শুধু সমান বললে হবেনা বা কার্পণ্য করা হবে আমি মনে করি নারীর ভুমিকা বেশী, যাইহোক আমার আলোচনা আজ এ বিষয়ে নয়। কৃষ্ণচুড়ার যে রুপ দুর হতে দেখেছি অযত্নে অবহেলায় তা আজ শ্রী হীন, তবুও নীরব সাক্ষী হয়ে আজও বেঁচে আছে এইতো অনেক, তার কথা বলতে গিয়ে একযুগেরও বেশী পর খুঁজে পেয়েছি হারিয়ে যাওয়া প্রাণগুলিকে, সুপ্ত থাকা কুড়িগুলি আবার ফুটে উঠেছে, কাঙ্খিত মিলনমেলায় মিলিত হবার জন্য পণ করেছে, এসব কম কি, স্বপ্ন যেন সত্যি হতে চলেছে, কৃষ্ণচুড়ার কথা ভাবতে গিয়ে যে ভাবনাগুলি মনের গহীনে উঁকি দিয়েছিল তা বাস্তবায়নে আজিকার এ প্রয়াসে ক্রমশই কৃষ্ণচুড়ার প্রতি আমার ভালোবাসা গভীর থেকে গভীরতম হচ্ছে, হোক না একটি বৃক্ষ, বৃক্ষের কথা ভাবতে ভাবতে প্রিয় প্রানগুলিকে ফিরে পেয়েছি নব-আঙ্গিকে, এ তো আমার পরম পাওয়া, সকল প্রাণগুলিকে একীভূত করণে যে প্রয়াস চালানো হচ্ছে তা যদি সত্যিই সম্ভব হয় তা হবে স্মরণীয় অনুকরণীয়, হয়তো তখন কৃষ্ণচুড়াও ফিরে পাবে হারানো শ্রী, হয়তো আজ প্রিয়জন হারানোর ব্যাথা সইতে না পেরে প্রিয়জনদের কাছে পাবার ব্যকুলতায় সে আজ এমনি রুপ ধারন করেছে সাময়িকের জন্য, কৃষ্ণচূড়াকে মনে করে ফিরে পাওয়া প্রাণগুলি যেন নব-বন্ধনে জড়িয়ে থাকে আজীবন সেই প্রত্যয় সেই প্রার্থণা। ( চলবে)
লেখক-
নাজির
মোঃ রাফিউল হক
উপজেলা নির্বাহী অফিস
কুলিয়ারচর, কিশোরগঞ্জ।