কৃষি পরিবেশ উন্নয়নে মতিন সৈকতের ত্রিশ বছরের পথে চলা।

দাউদকান্দি উপজেলা

লিটন সরকার বাদল,
দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় কৃষি খাতের অবদান অপরিসীম। কৃষক বন্ধু মতিন সৈকত তিন দশকের বেশি সময় ধরে বিষমুক্ত ফসল, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, মাত্র দুইশ টাকা বিঘাপ্রতি মৌসুমব্যাপি পঁচিশ বছর বোরোধানে সেচ সুবিধা প্রদান, খাল-নদী পূনঃখনন আন্দোলন, প্লাবন ভূমিতে মৎস্য চাষ সম্প্রসারণ, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ, সামাজিক উন্নয়ন সহ দশটি খাতে পরিবর্তনের নেতৃত্ত দিয়ে দৃষ্টান্ত স্হাপন করেছেন। তার অবদান জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি অর্জন করছে। মতিন সৈকত কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার আদমপুর গ্রামে ১৯৭৩ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন অবস্থাপন্ন কৃষক এবং সমাজ সেবক। মতিন সৈকত তার বাবার আদর্শ লালন করে বেড়ে উঠেন। তার বাবা বলতেন “পাঁচে পদে মানুষ হও। ক্ষেতে গেলে কৃষক, হাল চাষ করতে হবে। শালিসে গেলে সাবস্হকারী, সমস্যার সমাধান দিতে হবে। মসজিদে গেলে ইমামতি করতে হবে এবং সবসময় মানুষের কল্যানে কাজ করতে হবে। ” মতিন সৈকত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাংলা সাহিত্যে অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। অধ্যাপনার পাশাপাশি সামাজিক বহুমুখী উন্নয়নে অবিরাম নেতৃত্ব দিয়ে চলছেন। কয়েক বছর লেখালেখি, পত্র -পত্রিকা, কালচারাল কর্মকান্ডে জড়িত থাকার পর তার কর্মযজ্ঞে পরিবর্তন আসে। সত্যিকার অর্থেই তিনি হয়ে উঠেন ‘ হিরো ফর চেন্জ’ পরিবর্তন -এর নায়ক। কৈশরেই তিনি কৃষি,পরিবেশ,সমাজ উন্নয়মূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত করেন। দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় ১৯৮৭ সালে সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ডের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন পত্র পেয়েছেন। সে সময় তিনি তিন গ্রামের কিশোর -যুবকদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন পি,এ,বি ক্লাব। (পুটিয়া,আদমপুর, বিটমান আদর্শ যুব উন্নয়ন সংঘ।) মতিন সৈকত কে নিয়ে বিটিভি মাটি মানুষের উপস্থাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকী ২০১৪ সালে ‘মাঠে রাজা’ প্রামাণ্য চিত্র উপস্থাপন করেন। ২০১৫ সালে প্রখ্যাত কৃষি মিডিয়া ব্যাক্তিত্ত শাইখ সিরাজ বিটিভিতে কৃষি ‘দিবা -নিশি’তে তার কর্মকান্ডের প্রতিবেদন প্রচার করেন। ২০১৬ সালে এটি এন নিউজের মুন্নী সাহা তার ‘কানেকটিং বাংলাদেশ’ প্রোগ্রামে দুই পর্বে প্রায় ৮০ মিনিট মতিন সৈকতের কাজের উপস্হাপন করেন। ২০১৭ সালে বিটিভিতে কৃতিজনদের সাথে আলাপন চেনাজানা অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার তার সাক্ষাৎকার গ্রহন করেন। মাছরাঙা টেলিভিশনের রাঙা সকাল সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে উপস্থাপন করেন। মতিন সৈকতের কর্মকান্ডের উপর ইংরেজিতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক ইয়াসমিন রীমা “অব দ্যা বেটেনটেক দি ক্রপ ক্রুসেডার” শিরোনামে। প্রভাষক রতন চন্দ্র দেবনাথ তাকে নিয়ে লেখেন “এম্যান টু বিফলোইড”। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স থিসিস পর্বের গবেষক প্রশান্ত কুমার দেব লেখেন “এরিয়েল প্রেট্রিয়ট” প্রভাষক আঃ মতিন লেখেন ” এনলাইটেট মতিন সৈকত”। ইসরাত জাহান মতিন সৈকত কে নিয়ে লেখেন ” এন আনডেনটেন্ড হিরো অব রেভুলোশনারি চেঞ্জস”। বিবিসি টেলিভিশন মতিন সৈকতকে নিয়ে ডকুমেন্টারি প্রচার করেন। অল্প সময়ে ৩৫ লক্ষ ভিউ, ৬৮ হাজার লাইক, ১০ হাজার শেয়ার ৬’শ বেশি কমেন্ট হয়। জাতীয় দৈনিকগুলো তার কর্মকাণ্ড অনেক বার প্রচার করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.