তথ্যসূত্রঃ আরটিএম নিউজ
কুয়েত সিটিঃ (ফাইল ছবি) মানি লন্ডারিং ও মানব পাচারের অভিযোগে অজ্ঞাতপরিচয় এক বাংলাদেশীকে গ্রেপ্তার করেছে কুয়েতের সিআইডি পুলিশ।
তিন সন্দেহভাজন বাংলাদেশীর ২ জন কুয়েত থেকে পালিয়ে গেছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারী) আরবী দৈনিক আল কাবাসের সুত্রে আরব টাইমস বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
#দৈনিক_আল_কাবাস_সিআইডি_পুলিশের_বরাত_দিয়ে_জানান, তিনটি বড় কোম্পানি নতুন ভিসায় প্রায় ২০,০০০ বাংলাদশীকে জনপ্রতি ১৮০০ থেকে ২২০০ দিনারের বিনিময়ে নতুন ভিসায় কুয়েত নিয়ে আসে।
সিআইডি পুলিশ আরও জানতে পেরেছেন যে, প্রতিটি বাংলাদেশি ড্রাইভারের ভিসা ২,৫০০ থেকে ৩,০০০ দিনারের মধ্যে ‘বিক্রি’ হয়।
অবাক করার মতো বিষয় হল যে সম্প্রতি প্রকাশিত তিন ব্যক্তির মধ্যে একজন বাংলাদেশী সংসদের সদস্য এবং তিনি তার দেশের একটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন এবং তিনি কুয়েতে একটি কোম্পানির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর।
সিআইডি তদন্তে জানতে পারে, বাংলাদেশি সাংসদ গত কিছুদিন আগে কুয়েতে প্রবেশ করে, তবে তাঁর অবস্থান ৪৮ ঘণ্টার বেশি ছিল না, কারণ এই সাংসদ মানব পাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ জানতে পেরে দ্রুত কুয়েত ত্যাগ করেন।
তার কোম্পানিতে কর্মরত শ্রমিকদেরকে ৫ মাসের বেতন আদায় না করার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে কুয়েতের
ফৌজদারি তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং কোম্পানির ফাইল স্থগিত করা হয়েছে।
সিআইডি সুত্রে প্রকাশ, অভিযুক্ত বাংলাদেশী সাংসদের কোম্পানিতে কর্মরত যে সকল শ্রমিকদের সরকারী চুক্তিতে আনা হয়েছিল, তারা অভিযোগ করেছে তারা ভিসা ব্যবসায়ীদের প্রতারণার শিকার হয়েছে এবং তাদের বেতন নির্ধারিত চুক্তির চেয়ে কম দেওয়া হয়েছে।
সূত্রে আরো জানাযায়, কেবলমাত্র (এস) হিসাবে চিহ্নিত তিন জনের একজন আসামি কোম্পানির সুবিধা নিয়ে কোন ইউরোপীয় দেশে চলে গেছে।
কথিত আছে যে তিনি একাই প্রায় সাত হাজার শ্রমিককে বিভিন্ন চুক্তিতে কুয়েত এনেছেন।
তথ্যসূত্রঃ আরটিএম নিউজ