শাহীন সুলতানা, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ ও অনুসন্ধান বিষয়ক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলা পরিষদ হল রুমে কুলিয়ারচরের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ ও অনুসন্ধান বিষয়ে সেমিনারের আযোজন করে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হান্নান মিয়া।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক পরিচালক রাখী রায়ের সভাপতিত্বে ও প্রত্নতত্ত্ব অধিপ্তরের সদ্য এলপিআরে যাওয়া সহকারী প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. ছাদেকুজ্জামান।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কুলিয়ারচর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা মনজুর আহমেদ, হাবিবুর রহমান বাচ্চু, মোঃ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
সেমিনারে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের একটি অনুসন্ধানী দলের জরিপ ও অনুসন্ধানে কুয়িারচরের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রাপ্ত ১৯টি ঐহিতাসিক প্রাচীন স্থাপনার পরিচিতি তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো, ভাটি দোয়ারিয়া বদ্ধীনাথ সাহার মঠ ও তার মায়ের মঠ, মদন মোহন জিও বিগ্রহ আখড়া, নাজির দীঘি, মহারাজ ত্রৈলোক্য নাথ চক্রবর্তী বাড়ি, রায়েরচর বিষ্ণু নাথ পালের বাড়ি ও তার স্ত্রীর মঠ, রায়েরচর সাছনী পালের বাড়ি, রায়েরচর সর্বেশ্বরী পালের মঠ, রামদি চন্দ্র কিশোর কর রায় বাহাদুরের মঠ, আগরপুর হরিশ চন্দ্র মোদকের মঠ ও তার স্ত্রীর মঠ, আগরপুর মহেশচন্দ্র মোদকের মঠ, আগরপুর গোকূল চন্দ্র মোদকের বাড়ি ও মঠ,ছয়সূতী প্রতাপ নাথের বাড়ি,পুর্ব গোবরিয়া বড়জামে মসজিদ, মধ্য সালুয়া নিমচরণ সুত্র ধরের মঠ, বাজরা ঠাকুর বাড়ির শিব মন্দির।
সেমিনারে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, প্রত্নতাত্ত্বিক প্রকৌশলী, প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, বীরমুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।