দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর পৌরসভা নির্বাচন। নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী গত ৩০ ডিসেম্বর বুধবার বিকালে কিশোরগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসে প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র, সংরক্ষিত আসনে মহিলা কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং অফিসার ও কিশোরগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার মো. আশরাফুল আলম। এর আগে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন গত ২০ ডিসেম্বর রবিবার বিকাল ৫ ঘটিকা পর্যন্ত সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল আলমের নিকট ৫৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। পরে গত ২২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসে যাচাই বাচাইয়ে ১ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকালে বৈধ মোট ৫৫ জন প্রার্থীর মধ্যে মেয়র পদে ২ জন, সংরক্ষিত আসনে মহিলা কাউন্সিলর পদে ১২ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪১ জন প্রার্থী মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এদের মধ্যে মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত সৈয়দ হাসান সারওয়ার মহসিন (নৌকা) ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনীত নূরুল মিল্লাত (ধানের শীষ) প্রতীক পেয়েছেন। সংরক্ষিত আসনে মহিলা কাউন্সিলর পদে ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড থেকে কৃষ্ণা রানী দাস (জবা ফুল), ফারজানা আক্তার (আনারস), রহিমা (চশমা) ও সুমা আক্তার (টেলিফোন)। ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড থেকে ইয়াছমিন (আনারস), সুরাইয়া আক্তার (চশমা) ও মোছা.আছমা আক্তার (টেলিফোন)। ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড থেকে মোছা. ইভা বেগম (চশমা), রীনা রানী সুত্রধর (জবা ফুল), আয়শা (আনারস), মোসা. নাজমা বেগম (অটোরিকশা) ও মোছা. শামীমা আক্তার (টেলিফোন) প্রতীক পেয়েছেন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ড থেকে মো. হাবিবুর রহমান (গাজর), মো. মজনু মিয়া (উঠ পাখি), মো. সোহেল রানা (পানির বোতল) ও মো. অহিদ মিয়া (পাঞ্জাবি)। ২নং ওয়ার্ড থেকে মো, অলি উল্লাহ্ (পানির বোতল) ও মো. হুমায়ুন কবির (উঠ পাখি)। ৩ নং ওয়ার্ড থেকে দিলীপ দাস (ডালিম), নন্দলাল দাস (উঠ পাখি), মনোরঞ্জন দাস (পানির বোতল), নবকুমার দাস (পাঞ্জাবি) ও শ্রীকৃষ্ণ দাস (গাজর)। ৪নং ওয়ার্ড থেকে মো. আরমান মিয়া (উঠ পাখি), মো. সেলিম মিয়া (পানির বোতল) ও পারভেজ মিয়া (পাঞ্জাবি)। ৫নং ওয়ার্ড থেকে মো. আতিকুর রহমান 'পরশ' (পাঞ্জাবি), মো. দেলোয়ার হোসেন (ডালিম), মো. শাহজাহান (পানির বোতল), সাইফুল ইসলাম (উঠ পাখি), মো. ফরহাদ হোসেন (টেবিল ল্যাম্প) ও মো. শিশু মিয়া (ব্রিজ)। ৬নং ওয়ার্ড থেকে মো. মেরাজ খন্দকার (ডালিম), মো. মুখলেছুর রহমান ভূঁইয়া (টেবিল ল্যাম্প), মো. হেলাল উদ্দিন ভূঞা (উঠ পাখি), ইলিয়াছ মিয়া (পানির বোতল), নূর আলম মিয়া (পাঞ্জাবি) ও মো. মন্টু মিয়া (ব্রিজ)। ৭নং ওয়ার্ড থেকে কাজী রফিকুল ইসলাম (টেবিল ল্যাম্প), মো. জুয়েল মিয়া (উঠ পাখি), জামাল উদ্দিন (পাঞ্জাবি) ও মো. হারিছ উদ্দিন (পানির বোতল)। ৮নং থেকে মো. হাফিজুর রহমান (উঠ পাখি), লুৎফর রহমান (গাজর), মো. নুরুল ইসলাম ভূঞা (পাঞ্জাবি), অহিদ ভুইয়া (পানির বোতল), মো. শহিদুল ইসলাম (টেবিল ল্যাম্প) ও মো. জজ মিয়া (ব্রিজ) এবং ৯নং থেকে সৈয়দ কানন (পানির বোতল), সৈয়দ সাইফুর রহমান (পাঞ্জাবি), মো. সোয়েব মিয়া 'রোমান' (উঠ পাখি), সৈয়দ এরশাদ উজ্জামান (টেবিল ল্যাম্প) ও মো. উমেদ আলী (ডালিম) প্রতীক পেয়েছেন। প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর থেকে কুলিয়ারচর পৌর এলাকায় বইছে নির্বাচনি হাওয়া। প্রার্থীদের প্রতীক সম্বলিত নির্ধারিত কালার এবং মাপে পোষ্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে হাট-বাজার ও পাড়া-মহল্লা। প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে কাক ডাকা ভোর হতে গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণসংযোগ করে ভোটারদের নিকট গিয়ে কুশল বিনিময় করে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছে। এছাড়া দোয়া চেয়ে বেড়াচ্ছে ছোট বড় সকল শ্রেণীপেশা মানুষের নিকট। বসে নেই প্রার্থীদের আত্মীয় স্বজন ও কর্মী সমর্থকরাও। তবে এবার মেয়র পদে লড়াই হবে হাড্ডা হাড্ডি জানিয়েছে ভোটারগণ।