গতকাল শনিবার (১৬ জানুয়ারি) দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী সৈয়দ হাসান সারওয়ার মহসিন নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৩ হাজার ২৪৩ ভোট পেয়ে বে-সরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নূরুল মিল্লাত ওইদিন বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জন করার পরও ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ২৯০ ভোট। এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর হিসেবে ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড থেকে জবাফুল প্রতীক নিয়ে কৃষ্ণা রানী দাস, ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড থেকে আনারস প্রতীক নিয়ে ইয়াছমিন আক্তার এবং ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড থেকে চশমা প্রতীক নিয়ে ইভা বেগম বে-সরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ কাউন্সিলর হিসেবে ১নং ওয়ার্ড থেকে গাজর প্রতীক নিয়ে মো. হাবিবুর রহমান, ২নং ওয়ার্ড থেকে উঠ পাখি প্রতীক নিয়ে মো. হুমায়ুন কবির, ৩নং ওয়ার্ড থেকে পাঞ্জাবি প্রতীক নিয়ে নবকুমার দাস, ৪নং ওয়ার্ড থেকে পানির বোতল প্রতীক নিয়ে মো. সেলিম মিয়া, ৫নং ওয়ার্ড থেকে ব্রিজ প্রতীক নিয়ে মো. শিশু মিয়া, ৬নং ওয়ার্ড থেকে পাঞ্জাবি প্রতীক নিয়ে নূর আলম মিয়া, ৭ নং ওয়ার্ড থেকে পাঞ্জাবি প্রতীক নিয়ে জামাল উদ্দিন, ৮নং ওয়ার্ড থেকে গাজর প্রতীক নিয়ে লুৎফর রহমান ও ৯নং ওয়ার্ড থেকে পানির বোতল প্রতীক নিয়ে সৈয়দ কানন বে- সরকারী ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলা পরিষদ হলরুমে আনুষ্ঠানিক ভাবে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামকে সাথে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়াৎ ফেরদৌসী বে-সরকারী ভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইয়াছির মিয়া ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমতিয়াজ বিন মুছা জিসান উপস্থিত ছিলেন। এই প্রথম কুলিয়ারচর পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২৫ হাজার ১৪৩ জন। এতে পুরুষ ভোটার ১২ হাজার ৬ শ জন ও মহিলা ভোটার ১২ হাজার ৫৪৩ জন।