কুলিয়ারচর থেকে নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর মো. সোহেল খন্দকার ওরুফে বধন (৩৫) নামে এক অটোরিকশা চালকের লাশ ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়ন থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে কালিকাপ্রসাদ বাসস্ট্যান্ডের পূর্বপাশে কালিকাপ্রসাদ পুরাতন পুলিশ ফাঁড়ীর মধ্যবর্তী ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের উত্তর-পূর্ব পাশ থেকে ওই অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত অটোরিকশা চালক সোহেল খন্দকার ওরুফে বধন কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার সালুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজপাড়া গ্রামের মো. হান্নান খন্দকারের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে কালিকাপ্রসাদ রাস্তার পার্শ্বে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ভৈরব থানায় খবর দেয়। পরে ভৈরব থানা পুলিশ এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। নিহতের হাত বাঁধা ও শরীরে রক্তাক্ত জখম ছিলো। নিহত অটোচালক সোহেল খন্দকারের চাচা মজলিশ খন্দকার জানান, সোহেল মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর দুই টার দিকে খাবার খেয়ে অটোরিক্সাটি নিয়ে বের হয়। রাত ৮টার দিকে সর্বশেষ তার সাথে পরিবারের যোগাযোগ হয় মোবাইল ফোনে। রাতে মোবাইল ফোন বন্ধ এবং বাড়ি না ফেরায় তারা চিন্তায় পড়ে যান এবং বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে সন্ধানে ব্যর্থ হন। পর দিন সকালে লোক মারফত একটি লাশ পড়ে আছে শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এবং লাশটি তার ভাতিজা সোহেল খন্দকারের বলে সনাক্ত করেন। তিনি আরও জানান, তার ভাতিজা সোহেল খন্দকার বিবাহিত ছিলেন। তার দুটি পুত্র ও দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি তার ভাতিজা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান । এ ব্যাপারে নিহতের চাচাতো ভাই মো. রিপন খন্দকার জানায়, ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে ভৈরবের কালিকাপ্রসাদ এলাকায় একটি মরদেহ পাওয়া গেছে সংবাদ পেয়ে সেখানে গিয়ে তারা নিখোঁজ অটোরিকশা চালক সোহেল খন্দকার ওরুফে বধন এর মরহদেহ দেখতে পেয়ে সনাক্ত করেন । ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহিন জানান, মহাসড়কের পাশে মৃত দেহটি পরে থাকতে দেখে সকালে থানায় খবর দেয় স্থানীয় লোকজন। পরে দুপুর ১২ টার দিকে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.শাহিন নিজেসহ ওসি (তদন্ত) মো. রাশেদের নেতৃত্বে পুলিশ এসে প্রাথমিক সূরৎহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। এছাড়া তিনি আরো জানান, প্রাথমিক সূরৎহাল রিপোর্টে নিহত ব্যক্তিকে ঘাড় মটকিয়ে ভেঙ্গে ফেলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ অপরাধীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে। এছাড়া কুলিয়ারচর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত অটোরিকশা চালকের একই ইউনিয়নের মধ্য সালুয়ার গ্রামের মনির মিয়ার ছেলে মো. হাকিম মিয়া (১৬) নামে আরো এক অটোরিকশা চালক গত ৫ দিন আগে (১৮সেপ্টেম্বর) অটোরিকশাসহ নিখোঁজ হয়েছে। এ ঘটনায় হাকিমের বাবা বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত হাকিমকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।