কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে মো. ইদ্রিস মিয়া (৫০) নামে এক রিকসা চালক স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্মম নির্যাতনের স্বীকার হয়ে নিজ বসতঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ভিটিগাঁও (পাওড়াবাড়ি) গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের পুত্র মো. ইদ্রিস মিয়া (৫০) এ প্রতিনিধির নিকট অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ১৬ বছর আগে উপজেলার ভিটিগাঁও (পাওড়াবাড়ি) গ্রামের মো. মারফত আলীর কন্যা ইয়াসমিনকে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে একটি টিনসেট ঘর নির্মান করে বসবাস করিয়া অভাবের সংসারে স্ত্রী, ১ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে রিকসা চালিয়ে ও জমি বর্গা চাষাবাদ করে বহু কষ্টে সংসার চালিয়ে আসছিলো। কর্মজীবনে আয়ের টাকা দিয়ে সংসারের উন্নতির জন্য প্রায় ৩ বছর আগে তার স্ত্রী ইয়াসমিন (৩৫) কে সৌদী আরবে (বিদেশ) পাঠান। বিদেশ গিয়ে স্ত্রী ইয়াসমিন তার নামে একবার কিছু টাকা পাঠিয়ে আর কোন টাকা পয়সা দেয়নি। বিদেশ থাকাকালীন সময় মোবাইল ফোনে অন্য এক ব্যক্তির সাথে পরিচয় হয় ইয়াসমিনের । বিদেশে কাজকর্ম করে অনেক টাকার মালিক হয়ে রিকসা চালক স্বামীকে আর পছন্দ না হওয়ায় তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার উদ্দেশ্য স্বামীকে না জানিয়ে কিছুদিন আগে ইয়াসমিন ছুটিতে বাড়ি আসে। পরে বিভিন্ন ওযুহাত দেখিয়ে ঘর-জামাই থাকা স্বামীর সাথে সংসার করবেনা জানিয়ে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদসহ বাড়ির লোকজন নিয়ে ইদ্রিস মিয়াকে তালাক দেওয়ার কথা বলে অত্যচার করতে থাকে। ওই রিকসা চালক স্ত্রীকে তালাক দিবেনা জানালে গত রোববার ( ৪ অক্টোবর) দুপুরে দেশীয় অস্ত্রাদীসহ স্ত্রী ইয়াসমিন পিতা মারফত আলী (৭০), বড় ভাই ফারুক মিয়া (৪৫), ভাবী রুমেনা (৪০) ও ভাইয়ে ছেলে মিজান (২২) কে সাথে নিয়ে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে ওই রিকসা চালককে অকথ্য ভাষায় গালিগালজসহ তাকে নির্মম ভাবে মারধর করে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করার চেষ্টা করে এবং বসতঘর ভাংচুর করে ঘরে থাকা নগদ টাকা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, আসবাবপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। এতে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয় ওই রিকসা চালকের। স্থানীয়রা তাৎক্ষনিক ওই রিকসা চালককে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান। এ ঘটনার পর থেকে স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের হুমকি ধুমকির করাণে প্রানের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ওই রিকসা চালক । এব্যাপারে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত মামলার প্রক্রিয়া চলছিলো।