কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বিভাটেক চালক মো. হাকিম (১৬) ও অটো চালক মো. সোহেল খন্দকার ওরুফে বদন (৩৫) হত্যা প্রতিবাদে ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্টিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার দ্বারিয়াকান্দি-ডুমরাকান্দা রাস্তার ডুমরাকান্দা বাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মোড়ে ইসলামি শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ এর সালুয়া ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে নিহত বিভাটেক চালক হাকিম ও অটো চালক সোহেল খন্দকার বদনের পরিবারের লোকজন ও আত্মীয় স্বজন, স্থানীয় রিকশা চালক, বিভাটেক চালক, অটো চালক ও সিএনজি চালকসহ এলাকার সকল শ্রেণীপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। কয়েক দিনের ব্যবধানে উপজেলার সালুয়া ইউনিয়নে ১ জন বিভাটেক চালক ও ১জন অটো চালক খুন হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কোন খুনের ঘটনা উদঘাটনসহ হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, ইসলামি শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ এর কুলিয়ারচর উপজেলা শাখার সভাপতি মো. দ্বীন ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল করিম ও ইসলামি শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ এর সালুয়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মো. মিল্লাত মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. মুর্শিদ মিয়া ও মুফতি আব্দুর রহমান, মাওলানা আসাদুল্লাহ, নিহত অটো চালক সোহেল খন্দকারের চাচা মজলিশ খন্দকার, মো. আলামিন ও মো. আমান উল্লাহ প্রমুখ। বক্তরা অবিলম্বে বিভাটেক চালক হাকিম ও অটো চালক সোহেল খন্দকার বদন খুনের রহস্য উদঘাটন উন্মোচন করে প্রকৃত খুনিদেরকে খুঁজে বেড় করে বিচারের আওতায় আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানান। এ ছাড়া রিকশা, বিভাটেক, অটোরিকশা ও সিএনজি চালকদেরকে শতর্ক করে কিছু নিয়মকানুন মেনে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দেয় বক্তারা। উল্লেখ্য, বিভাটেক চালক মো. হাকিম মিয়া গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিকালে তার বিভাটেক গাড়িসহ নিখোঁজ হয়। তাকে খোঁজাখোঁজি করে কোথাও না পেয়ে পরদিন ১৯ সেপ্টেম্বর হাকিম মিয়ার পিতা মো. মনির মিয়া বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। ডায়েরী নং ৬৯৮। পরবর্তীতে ঘটনার ১৩ দিনপর ১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার সালুয়া ইউনিয়নের ভিটিগাঁও সংলগ্ন দ্বারিয়াকান্দি-ডুমরাকান্দা রাস্তার পাশে একটি জলাশয়ের কচুরিপানার ভিতর থেকে সম্পুর্ণ গলিত এক অজ্ঞাত যুবকের লাশ পাওয়া যায়। সংবাদ পেয়ে বিভাটেক চালক হাকিমের স্বজনরা গিয়ে তার পরনে থাকা গেঞ্জি দেখে অজ্ঞাত লাশটি হাকিমের বলে শনাক্ত করেন। পরে বিকাল ৫ টার দিকে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ ওই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। বিভাটেক চালক হাকিম মিয়া উপজেলার সালুয়া ইউনিয়নের মধ্য সালুয়া গ্রামের মো. মনির মিয়ার ছেলে। অরপর দিকে গত ২২ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে অটো চালক মো. সোহেল ওরুফে বদন (২৯) তার অটোরিকশাসহ নিখোঁজ হয়। নিখুোজের একদিন পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টার দিকে তার লাশ পার্শবর্তী ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ বাস্ট্যান্ড এর দক্ষিণ-পুর্ব পাশের পুরাতন পুলিশ ফাঁড়ির মধ্যবর্তী ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করে ভৈরব থানা পুলিশ। সংবাদ পেয়ে নিখোঁজ অটোরিকশা চালক সোহেল খন্দকার বদনের স্বজনরা সেখানে গিয়ে অটো চালক সোহেল ওরুফে বদনের লাশ শনাক্ত করে। নিহত সোহেল খন্দকার বদন কুলিয়ারচর উপজেলার সালুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজ পড়া গ্রামের মো. হান্নান খন্দকারের ছেলে।