কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পরক্রীয়া প্রেমিকের সাথে দুই সন্তান নিয়ে উদাও স্ত্রী সন্তানকে পাগলের মতো খুঁজে বেড়াচ্ছে আলম মিয়া (৩৫) নামে এক রাজমেস্তরীর যোগালী (শ্রমিক)। উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের শ্রমিক আলম মিয়া অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ১২ বছর পূর্বে উপজেলার পশ্চিম আব্দুল্লাহপুর গ্রামের মো. হানিফ মিয়ার কন্যা ইয়াসমিন আক্তারকে ইসলামী শরাশরীয়ত মতে বিবাহ করে ঘর সংসার করে আসছে। সংসার জীবনে তাদের ২ ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। এক ছেলের নাম আব্দুল্লাহ (৮) ও অপর ছেলের নাম মামুন (৫)। আব্দুল্লাহ স্থানীয় এক কমি মাদ্রাসায় লেখা পড়া করে। অপর ছেলে মামুন স্থানীয় এক স্কুলে লেখা পড়া করে। স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (৩০) পরক্রীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর বিকালে স্বামী আলম মিয়ার জমানো দেড় লক্ষ টাকা ও দুই ভড়ি স্বর্ণালংকার সহ আরীফ (২২) নামে এক যুবকের সাথে দুই সন্তান নিয়ে পালিয়ে যায়। আরিফ তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে আলম মিয়ার এক নিকটআত্মীয়র সাথে যোগাযোগ করে জানায় ইয়াসমিন ও আলম মিয়ার দুই ছেলে সন্তান তার নিকট আছে। অচিরেই ইয়াসমিনকে সে বিবাহ করবে। এছাড়া আলম মিয়ার দুই সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বলে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে নরসিংদী জেলার মাধবদী এলাকা থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে আসার জন্য। স্ত্রী সন্তানদের হারিয়ে পাগল প্রায় আলম মিয়া স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হন্য হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে। ইয়াসমিন এর আগেও পরক্রীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে আনোয়ার (৪৫) নামে এক যুবকের সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। পরবর্তীতে সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে পুলিশ দ্বারা স্ত্রীকে উদ্ধার করে পুনরায় বিয়ে করে সংসার করতে থাকে আলম মিয়া। এ অবস্থায় আরীফ মিয়া নামে ওই যুবকের সাথে প্রথমে মোবাইলে পরিচয় হয় গৃহবধু ইয়াসমিনের। মোবাইল ফোনে পরিচয়ের এক পর্যায়ে অবৈধ ভাবে পরক্রীয়ায় লিপ্ত হলে বিষয়টি স্বামী আলম মিয়া টের পেয়ে স্ত্রী ইয়াসমিনে ছোট ভাই সুমন মিয়া (২৩) ও ছোট বোন জেসমিন আক্তার (২৭) কে জানান । বিষয়টি অন্যদিকে মোড় নিলে ইয়াসমিনের ভাই ও বোনের সহযোগীতায় দুই সন্তানসহ টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে ১ সেপ্টেম্বর বিকালে পালিয়ে গিয়ে প্রেমিক আরীফ মিয়ার কাছে চলে যায়। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত স্ত্রী সন্তানকে খোঁজা খুঁজিসহ মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল আলম মিয়া।