কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে সকালের নাস্তা খাওয়া নিয়ে দুই কিশোরের মধ্যেকার ঝগড়া মিমাংসা করে দেওয়ায় বাদল মিয়া (৪৫) নামে এক মাতব্বর হামলার শিকার হয়ে দুই দাঁত হারাতে হয়েছে। রবিবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর পৌর এলাকার বড়খারচর মোড়ে এ ঘটনাটি ঘটে। জানাযায়, রবিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ৮ টার দিকে বড়খারচর মোড়ে জুলহাস মিয়ার চায়ের স্টলে বড়খারচর সরকার বাড়ির মো. কুদ্দুস মিয়ার ছেলে আলী হোসেন নাস্তা খেতে আসে। এ সময় নাস্তা খাওয়া নিয়ে দোকানদারের ছেলে নীরবের সাথে আলী হোসেনের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতা-হাতির রূপ নিলে একই দোকানে চা খেতে আসা একই গ্রামের বাদল মিয়া (৪৫) দু’জনের মধ্যকার ঝগড়া মিমাংসার লক্ষে নীরব ও আলী হোসেনকে দুটি চড় থাপ্পর দিয়ে তাদেরকে ঘটনা স্থল থেকে সরিয়ে দিয়ে ঝগড়া সমাধান করে দেন। এরই জের হিসেবে আলী হোসেন নিজ বাড়িতে গিয়ে তাকে বাদল মিয়া মেরেছে বলে অভিযোগ করলে ঘটনা অন্য দিকে মোড় নেয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে রোববার সন্ধ্যায় বাদল মিয়া মাগরিবের নামাজ শেষে একই দোকানে চা খেতে আসলে সকালের ঘটনার জের ধরে আলী হোসেনের ছোট ভাই মনিরের নেতৃত্বে ৮/১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল লাঠিসোঁটা নিয়ে আলী হোসেনের পিতা কুদ্দুস মিয়ার সামনেই বাদল মিয়ার উপর হামলা করে। হামলায় বাদল মিয়ার মুখের বাম পাশের দুটি দাঁত ভেঙ্গে পড়ে যায় এবং মুখের বাম পাশে ও মাথায় মারাত্মক ভাবে জখম হয়ে ঘটনা স্থলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এ সময় স্থানীয়রা বাদল মিয়াকে রক্তাক্ত আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় হামলাকারীরা ওই দোকানের আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় থমথমে উশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হলে থানা পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।