কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে গণধর্ষণের অভিযোগে গত ৩০ মে কুলিয়ারচর থানায় দায়ের করা মামলা নং ২১/১০৯ এর সূত্রধরে পুলিশি হয়রানীর প্রতিবাদে এক সরকারী কর্মচারী কর্তৃক সংবাদ সম্মেলনে রাসেল নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে বক্তব্য দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এক অসহায় মা। কুলিয়ারচর পৌরসভা এলাকার মেরাতুলী মহল্লার মো. সিরাজ মিয়ার স্ত্রী মোছা. হোসনে আরা (৫০) সোমবার (২২জুন) বিকালে প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করে বলেন, সোমবার (২২ জুন) সকাল ১১ টার দিকে কুলিয়ারচর পৌরসভা এলাকার দড়িবাগ মহল্লায় নিজ বাড়ীতে ভৈরব উপজেলা খাদ্য গুধামের নিরাপত্তা প্রহরী মো. হুমায়ুন কবির কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হুমায়ুন কবিরের বড় ছেলে মো. আশিক ইকবাল রনি (২৮) উপস্থিত গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে বলেন, গণধর্ষণের ঘটনার সাথে তার ছোট ভাই রবিন জড়িত নয়। গণধর্ষণের ঘটনার সাথে আমার ছেলে রাসেল সহ মামুন ও ইমন নাকি জড়িত। কিছুদিন আগে মোবাইল ফোনে রাসেল নাকি ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে রনির সাথে বলেছে, মামুন ও ইমন ঘটনার সময় রাসেলের সাথে ছিল। এসব কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমার ছেলে রাসেল কখনো রনির সাথে এসব কথা বলেনি। গণধর্ষণ মামলার এজাহারে ও এফআইআর কপিতে আমার ছেলে রাসেলের নাম উল্লেখ নাই এবং বাদী নিজেও গণধর্ষণের সাথে আমার ছেলে জড়িত আছে এমন কথা কখনো বলেনি। এ ঘটনায় সোমবার (২২ জুন) বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে " কুলিয়ারচরে গণধর্ষণের অভিযোগে পুলিশি হয়রানীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এতে আমার ছেলে রাসেলের বিরুদ্ধে যে সব কথা লিখা হয়ে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বনোয়াট ও ভিত্তিহী। সমাজে আমার ছেলে রাসেলকে হেয় প্রতিপন্ন করার হীন চক্রান্তে লিপ্ত হয়ে গণধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার অপবাদ দিয়ে প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে ছোট ভাই রবিনকে গণধর্ষণ মামলা থেকে বাচাঁতে আশিক ইকবাল রনি এ বক্তব্য দিয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে । আমি প্রকাশিত সংবাদ সহ আশিক ইকবাল রনির এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। উল্লেখ্য, কুলিয়ারচর পৌর এলাকার আশ্রবপুর মহল্লার এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী (২০) নারীকে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে গত ২৮ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে তার বাড়ীর পাশ্ববর্তী দোয়ারিয়া কুমারপাড়া শ্বসান ঘাটে নিয়ে ৩ যুবক জোর পূর্বক পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। এ ঘটনায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ধর্ষিতা নারী বাদী হয়ে মো. রবিন মিয়া (২৩) কে প্রধান আসামী করে মামুন মিয়া (২৫) ও ইমন মিয়ার (২৪) নামে কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং ২১/১০৯ । উক্ত মামলায় রাসেলকে কোন আসামী করা হয়নি।