কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে এক জরাজীর্ণ পাঞ্জাখানা মসজিদের উন্নয়নের কালেকশানের টাকা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে ইউএনও’র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কুলিয়ারচর – দ্বাড়িয়াকান্দি রাস্তায় এ বিক্ষোভ মিছিলটি বের করে এলাকাবাসী। জানা যায়, পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৯এপ্রিল) সন্ধ্যার পর উপজেলার দ্বাড়িয়াকান্দি মধ্যপাড়া গ্রামে জরাজীর্ণ এক পাঞ্জাখানা মসজিদ মেরামতের জন্য ওই মসজিদের ইমাম মাহফুজ ও মুসল্লী মোঃ সাইফুল ইসলাম মিলে মসজিদের সামনে একটি টেবিল রেখে এলকাবাসীর নিকট থেকে দুই, পাঁচ, দশ, বিশ ও পঞ্চাশ টাকা করে কালেকশন করছিল। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়াৎ ফেরদৌসী পুলিশ ফোর্স নিয়ে কালেকশানরত থাকা মোঃ সাইফুল ইসলামের নামে কালেকশনকৃত ৫৩৩৬ টাকা ১৮৬০ সালের দন্ডবিধি ২৬৯ ধারায় জরিমানা করে নিয়ে যায়। এর পর থেকে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। প্রথমে “দ্বাড়িয়াকান্দি আলোকিত যুব সংগঠন” নামক একটি আইডি থেকে স্ট্যাটাস দেয় – সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি… গতকাল আমাদের দ্বাড়িয়াকান্দিতে শবে বরাত উপলক্ষ্যে ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন মসজিদটি উন্নয়নের জন্য মাগরিব পরবর্তী সময়ে টাকা সংগ্রহ চলছিল। ঐ সময় কুলিয়ারচরের ইউ.এন.ও উনার নজরে আসে তখন তিনি অনেকটা ধরপাকড় শুরু করে এবং অবশেষে টাকা গুলো জরিমানা হিসেবে নিয়ে যায়। উল্লেখ্য গতকাল কালেকশনে সময় মানুষ ছিল ৪-৫জন। কিন্তু আমি যদি পুরো কুলিয়ারচরের ছিত্র তুলে ধরি তাহলে শত শত মানুষ জমায়েতের ছবি গুলো সামনে আসবে। আপনাকে কেন মসজিদকে জরিমানা ধরতে হবে..? এর ছেয়ে হৃদয়বিদারক ঘঠনা আর কি হতে পারে..? উনি চাইলে বিকল্প কিছু করতে পারতেন কিন্তু এরখমটা আমরা দ্বাড়িয়াকান্দিবাসী কেউ মেনে নিতে পারছি না। আমি ফেসবুকের মাধ্যমে এউ.এন.ও নিকট বিনীত অনরোধ করে বলছি যত দ্রুত সম্ভব আপনি টাকা গুলো ফেরৎ দিবেন এবং এরখম একটি জগণ্য কাজের জন্য দুঃখ প্রকাশ করবেন। জনগণের জন্যই প্রসাশন আর প্রসাশন যদি জনগণের আবেগের মূল্য না দেয় তাহলে জনগণ দেখিয়ে দিবে যে, জনগণ চাইলে কি করতে পারে। “নূরুল মনসুর ” নামে এক আইডি থেকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন – বাংলাদেশ ইতিহাসে এমন নজির নাই ৯৬ শতাংশ মুসলিম বসবাসরত একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান “মসজিদ” কে জরিমানা করা। এটাই প্রথম। জয় হোক ইউএনও মেডামের। তিনি আরো একটি স্ট্যাটস দিয়েছেন- মসজিদে লোক সমাগম দেখে, অথচ তার চোখের সামনে কুলিয়ারচর বাজারে প্রতিদিন হাজার হাজার লোকসমাগম হয় সেটা দেখে না। শুধু কুলিয়ারচর বাজার নয় প্রতিটি বাজারে প্রচুর লোকের জমায়েত হয়। “রাজহীন রাজ ” নামে অপর একটি ফেইসবুক আইডি থেকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন- কাজটা একেবারেই ঠিক করেনি…..এই মসজিদটি অনেক দিন যাবত অসংস্কার এর কারনে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে….. মানুষগুলো টাকা কালেকশন করে আল্লাহর ঘর মেরামত করতে চেয়েছিলেন….তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এমনই ভাবে অনেক ফেইসবুক আইডি থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এহেন কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানান। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়াৎ ফেরদৌসী এর মোবাইল ফোনে কল করে তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।