কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক কৃষকের বড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও মারধোরের বিচার দাবীতে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (৯ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার জগতচর পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ বিক্ষোভের ঘটনাটি ঘটে। জগতচর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত কনু খাঁ’র পুত্র মো. আমিনুল ইসলাম (৬৫) জানান, গত ৭ ফেব্রুয়ারি রোববার সকাল ১০টার দিকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের মৃত আ. খালেক উরুফে কালু মিয়ার পুত্র হানিফ মিয়া (৫২), আবু সাঈদ (৪৮) ও আ. হেলিম (৪৪) দলবলসহ দেশীয় অস্ত্রাদি নিয়ে কৃষক আমিনুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে হামলা করে তার ছোট ভাই দ্বীন ইসলাম (৫৫) ও ছেলে শামিনুল ইসলাম (২৫) কে মারধোর করে। এ সময় তাদের ডাক চিৎকারে বাড়ি ঘরের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামলা করে মারধোর করে হামলাকারীরা। হামলায় শামিনুল ইসলাম (২৫), মোছা. আঞ্জুমান আরা বেগম (৫০), লাইলা খাতুন (৫২), সজিব মিয়া (২৮), দ্বীন ইসলাম (৫৫) ও মো. জসিম মিয়া (৩৫) আহত হয়। হামলাকারীরা এতেই ক্ষ্যান্ত হয়নি। তারা আঞ্জুমান আরা বেগম ও লাইলা খাতুনকে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানী ঘটায় এবং আমিনুল ইসলামের বসত ঘর ও ঘরে থাকা আসবাবপত্র ভাংচুরসহ লুটপাট করে ব্যাপক ক্ষতি করে। এ সময় আহতদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে শামিনুল ইসলাম ও আঞ্জুমান আরা বেগমের অবস্থা আশংকাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করেন। দ্বীন ইসলামকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পরদিন মো. আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে আ. হেলিমকে প্রধান আসামী করে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের নামে কুলিয়ারচর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করার পর থানা পুলিশ অভিযোগটি আমলে নিয়ে এফআইআর করেছেন। তিনি আরো বলেন এর আগেও প্রতিপক্ষ ২০০৫ সালে তাদের উপর হামলা করে মারধোর করায় কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ১২(০৯)২০০৫।