কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে জমির সীমানা মাপাকে কেন্দ্র করে এক কৃষকের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় এক প্রতিবন্ধী বৃদ্ধসহ ৮ জন আহত হয়েছে। গত মঙ্গলবার (৪ আগষ্ট) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের আমোদপুর গ্রামের কৃষক প্রতিবন্ধী মোস্তফা গাজীর বাড়ীতে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। আমোদপুর গ্রামের মৃত মো. হাছেন আলী গাজীর পুত্র মোস্তফা গাজী (৬০) অভিযোগ করে বলেন, বাড়ীর সীমানা মাপাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী কালাচাঁন গাজীর ছেলে ইদ্রিস গাজী (৪৩), ছেলে দূর্জয় (২০), দীপু (১৮) ও ভাতিজা ছাব্বির (১৯) সহ ৮/১০ জন মিলে দেশীয় অস্ত্রাদী নিয়ে তার বসত বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাদের মারধর করে। হামলায় প্যারালাইসেস রোগি মোস্তফা গাজীসহ তার স্ত্রী হার্ডের রোগি নাজমা বেগম (৫০) ও ছেলে মো. রাসেল মিয়া গুরুতর আহত হয়। জানা যায়, ঝগড়া ফিরাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের সাকিনা (১৫) আহত হয়। এ সময় প্রতিবন্ধী মোস্তফা গাজীকে মারধর করার কারণে দূর্জয়কে গণধোলাই দেয় এলাকাবাসী। হামলায় দীপু, ছাব্বির ও ইদ্রিস আহত হয়। স্থানীয়রা ওই দিন আহত মোস্তফা গাজী, নাজমা বেগম ও রাসেল মিয়াকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। অপর দিকে স্থানীয়রা প্রতিপক্ষের দূর্জয়, সাকিনা, ছাব্বির ও দীপুকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। আহত ইদ্রিস প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। আহত নাজমা বেগমের অবস্থার অবনতি দেখা দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে নরসিংদী জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। প্রতিপক্ষ ইদ্রিস গাজী অভিযোগ করে বলেন, কুলিয়ারচরের সন্ত্রাসী বলতে বলতে তার ছেলে দূর্জয়কে খুন করার উদ্দেশ্যে প্রতিবেশী রাসেল (২২), মনির (২০), আজিজুল (২২) ও পারভীন সহ একাধিক ব্যক্তি হামলা করে মারধর করতে থাকে। এ সময় বাধা দিতে গেলে তাকেসহ সাকিনা, দীপু ও ছাব্বিরকে মারধর করে তারা। এ ব্যাপারে স্থানীয় মুক্তার গাজী (৪৫), স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার বুরহান উদ্দিন খানসহ এলাকাবাসী বলেন, বাড়ীর সীমানা মাপাকে কেন্দ্র করে প্রথমে ইদ্রিস ও রাসেল এর মধ্যে কথা কাটা-কাটি হয়। এর কিছুক্ষন পর দূর্জয় ও তার ছোট ভাই মিলে মোস্তফা গাজীর বাড়ীতে গিয়ে হামলা করে মোস্তফা গাজী, নামজা বেগম ও রাসেলকে বেধর মারধর করতে থাকে। এ সময় ফিরাতে গিয়ে সাকিনা সহ অনেকে আহত হয়। প্রতিবন্ধী মোস্তফা গাজীকে নির্মম ভাবে মারধর করার কারণে এলাকাবাসী দূর্জয়কে গণধোলাই দেয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আপোষ মিমাংসার চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ফরিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান লায়ন মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক। মোস্তফা গাজী একজন প্যারালাইসেস রোগি ও তার স্ত্রী একজন হার্ডের রোগি। তাদেরকে এ ভাবে মারধর করা কোন মতেই উচিত হয়নি।