মঙ্গলবার ৮ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনলাইন নিউজ পোর্টাল কালের নতুন সংবাদ, ফেসবুক ফেইজ ভৈরব -কুলিয়ারচর সংবাদ - এ ও ফেসবুক আইডি মোহাম্মাদ আরীফুল ইসলাম থেকে " হযরত আলী’র হত্যা এবং কথিত সাংবাদিক কাইসার হামিদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল" শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মুহাম্মদ কাইসার হামিদ। সম্প্রতি দৈনিক আজকের সারাদিন পত্রিকা থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল কালের নতুন সংবাদ ডটকম এর কুলিয়ারচর প্রতিনিধি ফারজানা আক্তার ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং অনলাইন টিভি'র সাংবাদিক মোহাম্মদ আরীফুল ইসলামের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করা সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে "কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর পৌরসভাধীন পূর্ব গাইলকাটা গ্রামের অটো বিক্সাচালক হযরত আলী’র হত্যার দ্রুত বিচার ও কথিত সাংবাদিক কাইসার হামিদ কর্তৃক নিহতের চরিত্রহানী ও মিথ্যা সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে এক মানববন্ধন পালিত হয়। মানববন্ধনে নিহত হযরত আলীর পিতা ও মামলার বাদী আক্কেল আলী বলেন, আমার ছেলের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবী এবং আমার ছেলের নামে মাদক সেবন ও ক্রয়- বিক্রয়ের মিথ্যা অপবাদ দেয়া সাংবাদিক কাইসার হামিদের বিচার চাই। হযরত আলীর খালা আতর বানু জানান, সাংবাদিক কাইসার আমার বোনপোর নামে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছে আমরা টাকা দেই নি বলে। অপর দিকে নিহতের চাচা বলেন, আমাদের কাছে সংবাদ করার জন্য টাকা দাবী করে। টাকা দেইনি বলে আমাদের নিহত ছেলের উপর জুয়ারী অপবাদ দিয়ে ৩০ টাকার মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে সাংবাদিক কাইসার হামিদ। প্রতিবাদ লিপিতে সাংবাদিক মুহাম্মদ কাইসার হামিদ উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, তার লিখা সংবাদের কোথাও উল্লেখ নেই যে, নিহত অটোচালক হযরত আলী মাদক সেবন, ক্রয়- বিক্রয়ের সাথে জড়িত ছিলো এবং তিনি আরো উল্লেখ করেন, জুয়ার পাওনা ৩০ টাকার জন্য এক অটোচালক খুন হয়েছে উল্লেখ করে বিভিন্ন পত্রিকায় ও অনলাই নিউজ পোর্টালে তার লিখা যে সব সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে একই ভাবে কুলিয়ারচরের আরো ৫-৬ জন সাংবাদিক তাদের জাতীয় দৈনিক মানবজমিন, মানবজমিন ডটকম, খোলা কাগজ, অনলাইন নিউজ পোর্টাল কলম ২৪ ডটকম, কিশোরগঞ্জ নিউজ ডটকম, সময়ের সংবাদ ডটকম ও বিজয় ৭১ টিভি ডটকম- এ কুলিয়ারচরে জুয়ার পাওনা ৩০ টাকার জন্য এক অটোচালক খুন হয়েছে উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তাহলে নিউজ প্রকাশের ১০ দিন পর কাদের ইন্দনে ও পরামর্শে একা সাংবাদিক মুহাম্মদ কাইসার হামিদের বিচার দাবী করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে ? তাহলে কি বুঝা যাচ্ছে সাংবাদিক কাইসার হামিদের সংবাদ ছাড়া কুলিয়ারচরের অন্যান্য সাংবাদিকদের সংবাদ সঠিক লিখেছে আর কাইসার হামিদের সংবাদ মিথ্যা ? এটা কোন স্বরযন্ত্রের শিকার নয়তো ? এছাড়া গত ২৯ আগষ্ট দুপুরের পর সরেজমিনে সংবাদ সংগ্রহ করতে সাংবাদিক মুহাম্মদ কাইসার হামিদের সাথে কুলিয়ারচরের সিনিয়র সাংবাদিক এডভোকেট মুহাম্মদ শাহ আলম নিহত অটোচালক হযরত আলীর গ্রামের বাড়ি পূর্বগাইলকাটা গিয়ে নিহতের পিতা, মাতা, বোন, খালা ও আত্মীয় স্বজনের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে নিহতের বোন বলেন, জুয়া খেলার পাওনা ৩০ টাকার জন্যই তার ভাইকে খুন করেছে সহপার্ঠিরা। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নিহতের পরিবারের উপস্থিতিতে চিকিৎসকের বক্ত্য নেওয়ার সময় মানববন্ধ ও বিক্ষোভ মিছিলের নিউজ প্রচারকারী ওই নারী সাংবাদিক ফারজানা আক্তার ও মোহাম্মদ আরীফুল ইসলাম সহ আলী হায়দার শাহীন চিকিৎসকদের বক্ত্য নিয়েছেন। ওই সময়তো কেউ অভিযোগ করেনি সাংবাদিক মুহাম্মদ কাইসার হামিদ নিহতের পরিবারের নিকট টাকা দাবী করেছেন। টাকা দাবী করার কথা অস্বীকার করে নিহতের পরিবার, এলাকাবাসী ও থানা পুলিশের তথ্য নিয়ে এ সংবাদটি করা হয়েছে দাবী করে কাইসার হামিদ বলেন, এর উপযুক্ত প্রমাণ তার নিকট রয়েছে। যার ফলে সংবাদে নিহতের চরিত্রহানী করা হয়নি এবং সংবাদটিও মিথ্যা নয়। নিয়ম থাকলেও সংবাদে কেন বা কি কারনে সাংবাদিক কাইসার হামিদের বক্তব্য নেওয়া হয়নি তা সংবাদের কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। নিহতের প্রতিবেশী ও কুলিয়ারচর উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. আবু ফয়েজ বলেন, অটোচালক হযরত আলী জুয়া খেলার পাওনা ৩০ টাকার জন্য খুন হয়েছে বলে জানা গেছে। কুলিয়ারচর থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই মুহাম্মদ আজিজুল হক ও এস আই আবুল কালাম আজাদ বলেন, নিহতের পিতা-মাতা ও আত্মীয় স্বজন ঘটনার দিন থানায় এসে বলেছে জুয়া খেলার টাকার জন্য হযরত আলীকে খুন করেছে তার সহ-পার্ঠিরা যা পুলিশের উপর মহল অবগত রয়েছেন। নিউজ প্রকাশের ১০ দিন পর এ ধরনের অভিযোগ কতটুকো সত্যতা বহন করে তা জানার প্রয়োজনে গুরুত্ব বহন করে। অপর দিকে নিউজের একটি কমেন্টে ফারজানা আক্তার লিখেছেন, ভিকটিম অর্থাৎ নিহত অটোচালক বক্তব্য দিয়েছেন এক ব্যক্তিই তাদের নিকট টাকা দাবী করেন। এতেই বুঝা যায় কাইসার হামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ কতটুকো সত্য। যা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে আসল ঘটনা। সাংবাদিক মুহাম্মদ কাইসার হামিদের বিরুদ্ধে এসব সংবাদে যেসব কথা লিখা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত দাবী করে সাংবাদিক কাইসার হামিদ বলেন, সমাজে তার মান সন্মান ক্ষুন্ন করার হীন চক্রান্তে লিপ্ত হয়ে সঠিক ঘটনা আড়াল করতে একটি কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় নিহত অটোচালক হযরত আলীর পিতা-মাতা ও আত্মীজনকে দিয়ে এসব মিথ্যা বক্ত্য উপস্থাপন করে ফারজানা আক্তার ও মোহাম্মদ আরীফুল ইসলাম উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এ সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। মিথ্যা বক্তব্যকারী ও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করে প্রশাসনে দৃষ্টি কামনা করেন কাইসার হামিদ। অপর দিকে সাংবাদিক এডভোকেট মুহাম্মদ শাহ আলম, আহমেদ ফারুক, মো. মাইন উদ্দিন, মো. নাদিম, মোছা. শুভ্রা, মৌসুমী আক্তার ও মিজানুর রহমান পাটোয়ারী প্রকাশিত সংবাদটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।