কুমিল্লা মেডিকেলকলেজহাসপাতালে বেওয়ারিশ রোগীদের নেই সেবার ব্যবস্থা । দিন রাত পরে থাকে ক্যাজুয়েলিটি ওয়ার্ডের বারান্দায় । এসব রোগীদের দেখেননা ডাক্তার- হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বেওয়ারিশ রোগীদের ওয়ার্ড নেই । রাখা হয় মানবিক কারণে ।
গতকাল সোমবার সকালে সাড়ে দশটায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দ্বিতীয় তলায় ক্যাজুয়েলিটি ওয়ার্ডের বারান্দায় দেখা যায় তিনজন বেওয়ারিশ রোগী ফ্লোরে পরে আছেন । একজন নারী বিবস্ত্র অবস্থায় রয়েছে । একজন পুরুষ রোগী মল ত্যাগ করে নষ্ট করেছেন নিজ লুঙ্গি ও কাপড় । অন্য একজন বেওয়ারিশ রোগী বসে আছেন তিন ফিট দূরে । বিবস্ত্র আর দুর্গন্ধে বারান্দার মানুষরা নাক চেপে হাঁটতে হয় । সকাল বেলার নাস্তায় যে কলা, রুটি দেওয়া হয়েছে তা পরে আছে পাশে । নাম প্রকাশনা করা শর্তে হাসপাতালের একজন নার্স জানান, বেওয়ারিশ রোগীদের কোন ফাইল নেই ।
ডাক্তাররা দেখতে যায় না । অনেক সময় মানুষ হাসপাতালে ফেলে যায়, তাদের ভর্তিও করা হয় না ।
ক্যাজুয়েলিটিওয়ার্ড ইনচার্জ মো. ইব্রাহীম বলেন, বেওয়ারিশ রোগী দেখাশোনার জন্য একজন পরিচ্ছন্নকর্মী দায়িত্বে আছে । প্রতিদিন সে তাদের একবেলা সেবা করে । তবে ওয়ার্ডের সামনে তারা এভাবে থাকলে অন্যদের ভোগান্তি হয় । সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুমিল্লার সভাপতি রোকেয়া বেগম সেফালী বলেন, স্বাস্থসেবা মৌলিক অধিকার । যদি পাগল বা বেওয়ারিশ রোগী হয় তাদের জন্য পৃথক সেবার ব্যবস্থা রাখা দরকার । নারী ও শিশু যেমন নির্যাতিত হলে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) তে সেবা পায় । তাদের জন্যও এমন সেবাপ্রদান করা যেতেপারে । কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সহকারী পরিচালক ডা. নিশাত সুলতানা বলেন, বেওয়ারিশ রোগীদের সেবা দেওয়ার কোন অবকাঠামো আমাদের নেই । তাদের জন্য পৃথক কোন ওয়ার্ড নেই । মানবিক কারণে ভর্তি রাখতে হয় । আমরা সেটা করি, তাদের তিনবেলা খাবার প্রদান করি । দেখাশোনার জন্য একজন পরিচ্ছন্নকর্মী আছে ।
সূত্র: আমাদের কুমিল্লা