কুমিল্লা দাউদকান্দির গৌরিপুর বাজারে আলোচিত-সমালোচিত খিদমা ডিজিটাল হসপিটালকে সিলগালা করা হইয়াছে।
আজ ৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ২ ঘটিকার সময় দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামরুল ইসলাম খান-এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ শহিদুল ইসলাম শোভন।
খিদমা ডিজিটাল হসপিটাল-এর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবৎ
বিভিন্ন ভুক্তভোগী রোগীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক অভিযোগ করে আসছেন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর এক গর্ভবতী নারী খিদমা হসপিটালে আল্ট্রাসনোগ্রাম করানোর জন্য আসেন।
তখন সাইফুল ইসলাম নিজেই আল্ট্রাসনোগ্রাম করেন এবং দ্রুত সিজার করার জন্য বলেন। অথচ তিনি কোনো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেকনিশিয়ান নন।
আমরা যতটা জানি, এমবিবিএস পাস শেষ আল্ট্রার উপরে কোর্স সম্পন্ন করার পরেই একজন ডাক্তার
এটি করতে পারেন।
একপর্যায়ে রোগিনীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সিজারে বাধ্য করেন সাইফুল। রোগী বারবার ৭ মাসের অন্তঃসত্বা জানালেও সাইফুল ইসলাম রোগীর কথাকে পাত্তা দেয়নি। রোগীকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে ২ সেপ্টেম্বর অপারেশন করানোর জন্য তারিখ নির্ধারণ করেন।
পরে রোগীকে বারবার কল দিয়ে ৪ আগস্ট হসপিটালে নিয়ে আসেন। পরে সাইফুল নিজেই ডাক্তার সেজে এবং সেবিকাকে দিয়ে তাহার অপারেশন করিয়ে সাত মাসের বাচ্চাকে মেরে ফেলেন। তারপর বাচ্চার মাকে এবং তাদের গার্ডিয়ানকে বলেন, বাচ্চার অবস্থা ভালো নয়, দ্রুত আপনারা ঢাকা নিয়ে যান, না হয় বাচ্চাকে বাঁচানো যাবেনা।
বাচ্চা মারা যাওয়ার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হলে নড়েচড়ে বসে দাউদকান্দি উপজেলা প্রশাসনসহ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা।
ডাক্তার এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আসার পর সাইফুল গা ডাকা দেন এবং তার স্ত্রী ও পালিয়ে যায়। এ সময় হসপিটালে একজন ডাক্তার উপস্থিত থাকায় তাহার নিকট কাগজপত্র চাইলে তিনি কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
এই সাইফুলের বিরুদ্ধে অগণিত অভিযোগের শেষ নেই।
এরই আলোকে আজ হসপিটালটিকে সিলগালা করা হয় এবং যে সমস্ত রোগী হসপিটালে ছিল,তাদেরকে সরকারি হাসপাতালে রেফার করা হয়।
এসময় প্রশাসনের নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই হসপিটাল বন্ধ থাকবে বলে প্রশাসন ঘোষণা করেন।